গুয়াহাটিঃ আজ কাতি অর্থাৎ কঙালি বিহু (Bihu)। অসমিয়া সংস্কৃতির ভেতরে উকি দিলে দেখা যায় তিন Bihuর অন্যতম হচ্ছে এই বিহু। আশ্বিন এবং কার্তিক মাসের সংক্ৰান্তির দিন পালন করা হয় এই Bihu। সন্ধ্যার সময় তুলসী তলায় প্ৰদীপ দেওয়া হয়, ধানের ক্ষেতে (paddy field) মাটির প্ৰদীপ দিয়ে (Earthen lamp) প্ৰত্যেকজন অসমিয়া নারী পরিবার তথা সকলের মঙ্গল কামনায় ভগবানের কাছে প্ৰার্থনা করেন।
ছবি, সৌঃ আন্তর্জাল
সেই সঙ্গে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে ফসল উৎপাদন করা হয় ধরিত্ৰী যেন সর্বদা শস্য শ্যামলা ধানে ভরা থাকে তার জন্য ঈশ্বরের কাছে প্ৰার্থনা করা হয়। আকাশ প্ৰদীপের আলোয় আলোয় আলোকিত হয়ে পরে গ্ৰামে গঞ্জের সমস্ত ধান ক্ষেত (paddy field)।
এদিন সকাল সকাল গ্ৰামের বিবাহিত নারীরা বাড়ির উঠোন, দুয়ার মুখ গোবর জল দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেন, তুলসী তলা পরিষ্কার করেন। লোকবিশ্বাস এদিন ঘর দুয়ার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রাখলে মা লক্ষ্মীর আগমন হয়। ঘরের শ্ৰীবৃদ্ধি হয়। এমনকি শহরেও ফ্ল্যাটে শহরবাসী নিজের নিজের মতো করে ছোট্ট বাড়ান্দায় তুলসী তলায় প্ৰদীপ জ্বালিয়ে কাতি Bihu পালন করে থাকেন। সেখানে মাসকলাই প্ৰসাদ হিসেব দেওয়া হয়। ঠাকুর ঘর, ধান রাখার ঘর, ধানের ক্ষেত টেকি ঘর, গোয়াল ঘর, হাস-ছাগল থাকার খামারের সামনে মাটির প্ৰদীপ দেওয়া হয়ে থাকে। গ্ৰামে গঞ্জে মাটির প্ৰদীপের বদলে চালতার বাকলির মধ্যেও প্ৰদীপ দেওয়া হয়।
আসলে কঙালি Bihuর সময় ধান প্ৰায় শেষ হয়ে যায়। আর নতুন করে শালি ধান হতেও যথেষ্ট সময় লাগে। অভাব অনটনের মধ্যে এই সময়টা পার হওয়ার কারণেই এই Bihuটিকে কঙালি বিহু বলা হয়। এই Bihuতে খুব বেশি উৎসাহ উদ্দীপনা থাকে না। অসমিয়া পরম্পরাগত রীতি নীতি নিয়মের (According Assamese to traditional rules) মধ্যে দিয়ে পালিত হয় এই Bihu।