গুয়াহাটিঃ অসমের বরাক উপত্যকায় করিমগঞ্জে যুবকের মুখে এসিড নিক্ষেপ করলো দুষ্কৃতীরা। বর্তমানে নির্যাতিত যুবক গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। যুবকের নাম মজনুর আহমেদ বলে জানা গেছে। মজনুর করিমগঞ্জের পাথরকান্দি থানার অন্তর্গত জেরঝেরির বাসিন্দা।
ঘটনার সূত্ৰপাত প্ৰেমকে কেন্দ্ৰ করে বলে জানা গেছে। গত ৩ আগস্ট মজনুর পাথারকান্দি কলেজ থেকে বাড়ির দিকে ফেরার সময় একটি ফোন আসে তার মোবাইলে। তাকে মইনা এলাকায় আসতে বলা হয়। কথামতো সে মইনা এলাকায় পৌঁছলে তাঁকে দুষ্কৃতীরা সকলে মিলে ধরে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। তারপর তাকে শারীরিকভাবে নির্মম অত্যাচার করে দুষ্কৃতীরা। তাকে বেধড়ক মারধর করে। তাতেও না থেমে যুবকের মুখে এসিড ছুড়ে মারে দুর্বৃত্তরা।
পরে ঘটনাটি চোখে পরলে এলাকার স্থানীয়রা যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারপর সেখান থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য গুয়াহাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (জিএমসিএইচ) রেফার করা হয়।
বর্তমানে, মজনুর গুয়াহাটির জিএমসিএইচ-এর ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
বুধবার, যুবকের উপর এসিড হামলার প্রতিবাদে করিমগঞ্জের পাথারকান্দিতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ বিপুল সংখ্যায় রাস্তায় জমায়েত হয়।
এদিকে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।
ধৃতদের নাম ক্ৰমে ফয়জল উদ্দিন ও রুমোনা বেগম। রুমোনা বেগমকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখা হলেও বুধবার ফয়জল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ফয়জলকে আদালতে তোলা হবে।
একটি মেয়ের সঙ্গে প্রেমের জেরে মজনুরের ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনার তল খুঁজে পেতে তদন্ত অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। এই ঘটনায় অন্য আসামীদের ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।