অসম সাহিত্য সভার মতো একটি জাতীয় অনুষ্ঠান তার দায়িত্ব এবং নিজস্ব নিষ্ঠাপূর্ণ কর্তব্য থেকে যে দূরে সরে যাচ্ছে তা বড় নিষ্ঠুরভাবে আরো একবার প্রকট হলো।
সভার কাণ্ডারিরা জাতীয় অনুষ্ঠানটিকে জনসমাজে হাসির পাত্রে পরিণত করে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন একথাও বলা যায়।
বর্তমান শুয়ালকুচিতে চলমান ‘অসম সাহিত্য সভা’র ৭৫ সংখ্যক অধিবেশন উপলক্ষ্যে প্রকাশিত স্মৃতিগ্রন্থ ‘শুয়ালকুছিজ্যোতি’ র ভুলগুলো সাহিত্যানুরাগীর পাশাপাশি বহু মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সাংঘাতিকভাবে।
সাহিত্য সভার স্মৃতিগ্রন্থের এক পাতায় কতগুলো ভুল থাকতে পারে তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষ; সমালোচনা চলছে।
দেখা গেছে, সাহিত্য সভার সভাপতির নামটিই ভুল অক্ষরে নয়া রূপে ধরা দিয়েছে!
শুধু তাই নয়, অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের নাম এবং উপাধি দুই-ই ভুল প্রকাশ হয়েছে।
এই ‘জাতীয় সভা’ কী ভাষা সাহিত্যের চর্চা নাকি ভাষার শ্রাদ্ধ তা নিয়ে তীব্র কটাক্ষের ঝড় উঠেছে চারদিকে।
একজন সাহিত্যানুরাগী লিখছেন,
“এই ভুল সামান্য ভুল নয়। অথবা একে কোন প্রিন্টিং মিসটেক বলা যাবে না। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা কিংবা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করা বৃথা। কারণ এই পত্রিকা কোন সাধারণ পত্রিকা নয়। অসম সাহিত্য সভার অধিবেশনের জন্যে প্রকাশিত মুখপত্র। যার জন্যে এ বিষয়ে যথেষ্ট সাবধানতা এবং নিষ্ঠা অবলম্বনের প্রয়োজন ছিল।”
‘অসম সাহিত্য সভা’ জাতীয় অনুষ্ঠান অসমের জাতীয় জীবনে বড় ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু সভা নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জন অভিযোগ উত্থাপন করে আসার সময়ই ফের আরেক ভুল সভার মান যে তলানিতে ঠেকিয়েছে তা নিশ্চিত।