এসডিএলএ-এর অনুমোদন সাপেক্ষে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের কাঁটাতার আর বরাক নদীর রাক্ষুসে আগ্রাসনে গৃহশূন্য হয়ে যাযাবর জীবনযাপন করা ১৩ টি পরিবারের হাতে পুনর্বাসনকল্পে প্রাথমিক পর্যায়ে দশ কাঠা করে জমির অনুমোদনপত্র তুলে দিলেন কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন।
শুক্রবার সকালে এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে প্রতিটি পরিবারকে বসতবাড়ি তৈরির জন্য দশ কাটা করে জমির অনুমোদনপত্র দেওয়া হয়। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তর্গত একটি করে আবাসগৃহ দেওয়ার কথাও আজ স্পষ্ট করেন বিধায়ক ।
দীর্ঘ টালবাহানা ও প্রক্রিয়াগত ঢিমেতালে ব্যবস্থার শিকার অসহায় পরিবারের জীবনযাপন অন্তঃসারশূন্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। একসময় যাবতীয় প্রত্যাশা হিমঘরে ঠাঁই বাঁধে। কিন্তু আশা ছাড়েননি । শাসকদলীয় বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন ও কাটিগড়া মহকুমা প্রশাসনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে। যার ফলস্বরূপ দেরিতে হলেও সরকারি অনুদান মিলল এই অসহায়দের।
সরকারি প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় জমি দেওয়া হয়েছে। মাথাগোঁজার ঠাঁই হিসেবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার অন্তর্গত একটি করে আবাসগৃহ দেওয়া হবে। এ সংক্রান্তে কাটিগড়া উন্নয়ন ব্লকের বিডিওকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এদিন টুকেরগ্রামের মল্লিকা বিবি স্বামী মইন উদ্দিন, জয়নাল উদ্দিন পিতা মৃত ইনতাজ আলী, ইয়াসিন আলী পিতা মৃত ইয়াকুব আলী, আব্দুল মনাফ পিতা জমসেদ আলী সহ হরিনগর ২য় খণ্ডের আশু দাস পিতা মৃত গোপেস দাস, নিশু দাস পিতা মৃত যোগেশ দাস, মাখন দাস পিতা কামিনী দাস, অমর দাস পিতা অশ্বিনী দাস, সতেন দাস পিতা শৈলেন দাস, অঞ্জু দাস পিতা বাদর দাস, শংকর দাস পিতা বাদর দাস, মঞ্জু দাস পিতা বাদর দাস, মনোরঞ্জন দাস পিতা অধর দাস মোট ১৩টি পরিবারের হাতে সরকারি জমির অনুমোদনপত্র তুলে দিতে বিধায়ক অমরচাঁদ সহ উপস্থিত ছিলেন কাটিগড়ার সার্কল অফিসার জীতেন টাইড,বিডিও সুজাউদ্দিন মজুমদার, সার্কল কর্তৃপক্ষ বিমলকান্তি ধর,ভু-বাসন কর্তৃপক্ষ বিশ্বজিৎ মালাকার,জহর দাস সহ যুবমোর্চার বাবলা দেব প্রমুখ।