স্বচ্ছ ও সবুজ গ্রাম গঠনে রাজ্য সরকার বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করায় চিরবঞ্চিত কাটিগড়া সমষ্টির হরিনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা টুকেরগ্রাম নতুনবস্তির পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্য বদলাতে চলেছে।
কাছাড়ের বহুল সংখ্যক গ্রামের মধ্যে কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় টুকেরগ্রাম নতুনবস্তি সহ মোট চারটি গ্রামকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে।
স্বচ্ছ ও সবুজ গ্রাম গঠনের ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নতুন পরিকল্পনা নিয়ে শনিবার বিধায়ক অমরচাঁদ সহ দক্ষিণ কাটিগড়া জেলাপরিষদ সদস্য অসীম দত্ত ও কাছাড় পরিকল্পনা দপ্তরের হেড অ্যাসিস্টেন্ট রৌলী ডালহৌসি,বিভাগীয় জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা টুকেরগ্রাম নতুনবস্তিতে পৌঁছে গ্রামীণ জনগনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেন। আলোচনা করেন সরকারী বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে।
বিধায়ক জানান স্বচ্ছ ও সবুজ গ্রাম গঠন সহ গ্রামটি বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে এ অঞ্চলের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার উন্নয়নে এলপি স্কুল থেকে এমই পর্যায়ে উন্নীত করা হবে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে একটি সাব-সেন্টার নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি রাস্তাঘাটের উন্নয়নে গুচ্ছ পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান বিধায়ক । বৈদ্যুতিকরণের ক্ষেত্রে সোলার সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হবে এবং খুব শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
তাছাড়া স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সরকারিভাবে ডাষ্টবিনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি রুজিরোজগার বৃদ্ধির তাগিদে বিভিন্ন ফলমূল,শাকসবজি চাষ সহ মৎস্য চাষের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানান বিধায়ক সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। পরিশোধিত পানীয় জলের ব্যবস্থাকল্পে পানীয়জল প্রকল্প সমূহকে চাঙ্গা করে তুলতে সবধরনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে ইতিমধ্যে বিভাগীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে বিধায়ক জৈন জানান আগামি এক বছরের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা টুকেরগ্রাম নতুনবস্তিকে স্বচ্ছ ও সবুজ গ্রামে রুপান্তরিত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।