অসমে অতি সত্ত্বর বন্ধ করা হবে সরকারি মাদ্রাসা এবং সংস্কৃত টোল। ঘোষণা করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা।
বুধবার শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রে অনুষ্ঠিত এক সরকারি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে ড০ শর্মা অতি পরিষ্কারভাবে একথা জানিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “সরকারের টাকায় কোনো ধর্মীয় শিক্ষা দেয়া যাবে না। কারণ আরবিক ভাষা শেখানো বা অন্য ভাষা শেখানো অথবা ধর্মগ্রন্থ শেখানো সরকারের কাজ নয়।”
আরো বলেন, ব্যক্তিগতভাবে টাকা খরচ করে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া ভিন্ন কথা, কিন্তু রাষ্ট্রের টাকায় ধর্মগ্রন্থ শেখালে বিদ্যালয়ে গীতাও শেখাতে হবে, বাইবেলও শেখাতে হবে।”
আগামি ৩ থেকে ৪ মাসের বন্ধ করা হবে সমস্ত মাদ্রাসা ও সংস্কৃত টোল।
অতি শীঘ্রই সরকারি মাদ্রাসা এবং সংস্কৃত টোলগুলোকে হাইস্কুল এবং উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হবে বলে তিনি এদিন ঘোষণা করেন।
অসমের শিক্ষামন্ত্রীর এই ঘোষণাকে বহু মুক্তচিন্তক জনগণ স্বাগত জানিয়েছেন।
তবে যদিও মাদ্রাসা-সংস্কৃত টোল বন্ধ করা হবে, ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষাদান করা শিক্ষকদের ভাতে মারবে না সরকার। শিক্ষকরা ঘরে বসেই অবসর পর্যন্ত লাভ করবেন মাইনে।
এদিকে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মার এই সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এআইইউডিএফের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল অসলাম। তিনি শর্মাকে একহাত নিয়ে এই ঘোষণাকে ‘ভূতের মুখে রামনাম’ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আগে হাইস্কুলগুলোকে ভালো করুন, এবং প্রাদেশিকরণ করে নিন, সরকারি বিদ্যালয়ের প্রতি রাজ্যবাসীর আস্থা নেই।”
“সংস্কৃত টোল বন্ধ করতে চাইছেন তার মানে তাঁদের উদ্দেশ্য ভালো নয়। কী কথা বললে মারামারি লাগবে, সামাজিকভাবে ঝগড়ার সৃষ্টি হবে, সে খেলা তারা ভালোই জানে। উন্নয়নের কথা তারা বলতে চায় না।”