সংশোধিত নাগরিকত্ব বিল সংসদের উচ্চ ও নিম্নকক্ষে পাশ হয়েছে। এখন এটি আইনে রুপায়িত হয়েছে। সুতরাং এনিয়ে মিথ্যে কুৎসা রটিয়ে বিভাজনের রাজনীতি থেকে বিরোধীদের বিরত থাকার পরামর্শ দিলেন শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়।
কাটিগড়া কেন্দ্রের চন্ডীনগরের নরপতিতে এক সিএএ সম্পর্কিত এক সচেতনতামুলক জনসভায় সাংসদ রাজদীপ সতর্ক করে বলেন অশিক্ষিত,অর্ধশিক্ষিত কিছু কংগ্রেসী নেতাদের প্ররোচনার ফাঁদে পা না দিতে। তরুণ গগৈর মত জনাকয়েক নেতা মানুষের কাছে বিশেষ করে মুসলমান সমাজের কাছে “ক্যা” নিয়ে মিথ্যা রটাচ্ছেন। একইসঙ্গে প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতার দ্বিচারিতার সমালোচনা করে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেত্রী সুস্মিতা দেবকে গোল টেবিলে সরাসরি বিতর্কে বসার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন ড: রাজদীপ রায়।
এদিনের আয়োজিত সভার সভাপতি বিজেপির প্রবীণ নেতা কমলকৃষ্ণ দাসের পৌরহিত্য সভায় সাংসদ বলেন,জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে রাজনৈতিক রুটি স্যাঁকছেন যারা, তারা চায় না প্রতিবেশী ইসলামিক রাষ্ট্রসমূহে ধর্মীয় উৎপীড়নের শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ,শিখ,ইশাই সহ ছয়টি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকতা সুনিশ্চিত হোক। তাদের জীবনযাপনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করুক।
স্বাধীনতার সত্তর-চুয়াত্তর বছর থেকে আটকে পড়া আইনটি বলবৎ করার সৎসাহস জুটাতে পারেনি যারা,তারা প্ররোচনা করে বিভাজনের রেখা টেনে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিগড়ে দিতে চাইছে। আদায় করতে চাইছে রাজনৈতিক মাইলেজ। যা কোনও অবস্থায় দেশবাসী মেনে নেবেন না বলে দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাজদীপ।
মণ্ডল সভাপতি যুবনেতা বাবলা দেব সহ জাতীয় পরিষদের সদস্য নিহাররঞ্জন দাস, আসাম রাজ্যিক সদস্য শশাঙ্ক শেখর ধর, জেলাপরিষদ সদস্য অসীম দত্ত, কাটিগড়া মণ্ডলের প্রভারী জহরজ্যোতি চক্রবর্তী, প্রাক্তন দুই মণ্ডল সভাপতি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী, সমীরণ নাথ লস্কর, বিগুলাল দাস, জয়াশীষ দাস, গৌতম নাথ, সজল দেব,সুব্রত ভট্টাচার্য, রিপন দাস, কার্তিক আচার্য, শঙ্কু চন্দ, সুভাষ মজুমদার, বাবলি নাথদের উপস্থিতিতে প্রায় দুইশতাধিক দলীয় কর্মী সমর্থক ও সাধারণ জনগনকে সম্বোধন করে সাংসদ আরও বলেন,“ক্যা” নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের এক যুগান্তকারী উদ্যোগ ।
সুদীর্ঘ বছরের আটকে থাকা একটি গুরত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত । কিন্তু কিছু বিভেদকামী শক্তি এর বিরোধিতা করে সরকারের এই উদ্যোগকে বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছিল। কিন্তু সফল হয়নি। আগামী দিনেও কোনদিনও সফল হবে না। সাফ জানিয়ে দিলেন তিনি ।
এদিন সাংসদ সহ বক্তব্য রাখেন জাতীয় পরিষদের সদস্য নিহাররঞ্জন দাস, আসাম রাজ্যিক সদস্য শশাঙ্ক শেখর ধর প্রমুখ। এরআগে সাংসদকে ঢালাও সংবর্ধনা জ্ঞাপন করেন দলের সর্বস্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।