শুরু থেকেই নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি’র বিরুদ্ধে সোচ্চার বাম-কংগ্রেসসহ অন্যান্য একাধিক বিরোধি দল।
এবার সিএএ’র বিরোধিতায় সরব হলেন রাজস্তানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্যে চারদিকে জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার জানান, সংবিধানবিরোধি এই আইন কোনমতেই মেনে নেবে না তাঁর সরকার। কিন্তু এরপরও যদি এনআরসি কিংবা এনপিআর কার্যকর হয়, তাহলে হয়ত তাঁকেই ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে সবার আগে।
“আমি যদি সমস্ত তথ্য দিতে না পারি, তাহলে আমাকে ডিটেনশন ক্যাম্পে যেতে হবে। আমার মা–বাবার জন্মস্থান কোথায় তা জানি না। যদি এরকম পরিস্থিতি আসে, তাহলে আমাকেই সবার আগে যেতে হবে ডিটেনশন ক্যাম্পে।”
কেন্দ্র এবং নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ উজাড় করে এদিন বলেন, দেশে শান্তি এবং সম্প্রীতি বজায় রাখতে কেন্দ্রের উচিত নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করে নেওয়া।
শুক্রবার তিনি আরো বলেন, ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের ভাবা উচিত। এই আইন সংবিধানের পরিপন্থী। দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হলে নতুন নাগরিকত্ব আইন প্রত্যাহার করা উচিত।’
এদিকে সিএএ’ কার্যকর করা প্রসঙ্গে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে (সিএএ) কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার কথা বলা নেই। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ আইনটির বিরোধিতাকারী রাজনীতিকদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তাদেরকে বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অমিত শাহ বলেছেন, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন আইনটি বহাল থাকবে। মঙ্গলবার লক্ষ্ণৌতে সিএএ সমর্থনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন ক্ষমতাসীন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।