“তাঁদের ভারতের নাগরিকত্ব প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলে অর্ধেক বাংলাদেশি নাগরিক সে দেশ ছেড়ে এদেশে চলে আসবে।” মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় গৃহরাজ্য মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।
তাঁর কথায়, “ভারতীয় নাগরিকত্ব মিলবে জানলে অর্ধেক বাংলাদেশ ফাঁকা হয়ে যাবে। ভারতের জনসংখ্যা বাড়বে কয়েকগুণ। তার দায় কে নেবে!”
জি কিযাণ হায়দ্রাবাদে সন্ত রবিদাস জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় ভাষণ প্রদান করে তিনি তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্ৰশেখর রাওকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন “CAA কীভাবে দেশে বসবাসকারী ১৩০ কোটি মানুষের স্বার্থ বিরোধী, তা প্রমাণ করুন?
ভোট ব্যাংকের জন্যে হওয়া চরম রাজনীতির কথা উল্লেখ করে এদিন রেড্ডি বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, ২০১৯-এ বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, শিখ প্রভৃতি ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব প্রদানের কথা রয়েছে। মুসলিমদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা নেই। এ নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধী পক্ষ। মন্ত্রীর অভিযোগ, যাঁরা উক্ত ৩ দেশ থেকে আসা মুসলিমদের নাগরিকত্ব দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছে, তাঁরা আর কিছু নয়, ভোট ব্যাংকের রাজনীতি করছেন।
এবং এই একই সারিতে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করছেন নেতা আসাউদ্দিন ওয়েসি। তাঁর এআইএমআইএম কে টিআরএসের সগোত্রীয় বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরো বলেন, শরণার্থী এবং অনুপ্রবেশকারীর মধ্যে পার্থক্য গুলিয়ে ফেললে হবে না।
তাঁদের সঙ্গে একই আচরণ করা উচিত হবে না কখনোই বলে মন্ত্রী। কিন্তু কংগ্রেস-সহ একাধিক দল বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদেরও নাগরিকত্ব দিতে চায় বলে তিনি অভিযোগ করেন।