গুয়াহাটিঃ গৌহাটি হাইকোর্ট (Gauhati High Court) মঙ্গলবার National Democratic Front of Bodoland (NDFB-R) প্রধান রঞ্জন দইমারিকে ২০০৮ সালের অক্টোবরে ধারাবাহিক বোমা বিস্ফোরণে তাঁর ভূমিকা থাকার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নিৰ্দেশ বহাল রেখেছে। বিস্ফোরণে ৮৮ জন হত এবং ৫৪০ জন আহত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, রঞ্জন দইমারি ছিলেন National Democratic Front of Bodoland (NDFB-R)-র প্রধান। ২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবর অসম জুড়ে বিস্ফোরণ হয়। ধারাবাহিক বিস্ফোরণ ঘটানো হয় গুয়াহাটি, Kokrajhar, Bongaigaon এবং Barpeta জেলায়। আদিবাসীদের ওই বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীর ওই ধারাবাহিক বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় অন্তত ৮৮ জনের। ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন প্রায় ৫৪০ জন। ওই ঘটনায় গুয়াহাটির বিশেষ CBI আদালত, ২০১৯ সালেই, রঞ্জন দইমারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সেই বছরের ২৮ জানুয়ারি রঞ্জন দইমারি সমেত ১৪ জনকে দোষীসাব্যস্ত করে CBI আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যান রঞ্জন। কিন্তু হাইকোর্ট আগের রায় বহাল রাখে। মঙ্গলবার ওই নির্দেশ দেয় গুয়াহাটির আদালত (Gauhati High Court)।
তারপরেই বনধের ডাক দিয়েছে রঞ্জন দইমারির অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, আদালতের এই রায়ে ক্ষুব্ধ বোরো জাতির লোকজন। রঞ্জন দইমারিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার প্রতিবাদে অসমে ২৪ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে। বুধবার, ২৪ ঘন্টার এই বনধে যে সমস্ত স্কুলে পরীক্ষা চলছে শুধুমাত্র সেগুলিকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৫টা পর্যন্ত এই বনধ চলবে। Ex-NFFB এই বনধ ডেকেছে Bodo National Students Union (BoNSU), Boro Women’s Justice Forum, Bodo People’s Committee For Peace Initiative এবং Society For Indigenous People’s Rights (SIPR) তাতে সমর্থন করেছে বলেও দাবি করেছে তারা।
জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি বৈঠক এবং আলোচনা করার জন্য ‘ছাড়া’ হয়েছিল রঞ্জন দইমারিকে। সেই সময়ে Guwahati Central Jail থেকে ছাড়া হয় তাঁকে।
কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য জামিন চেয়েছিলেন তিনি। সেই সময়ে তাঁকে চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে গুয়াহাটি হাইকোর্ট। তখন অসমের সরকার এর বিরোধিতা করেনি।
এদিকে এদিন গুয়াহাটির এই রায়ের পরে রঞ্জন দইমারির আইনজীবী Manas Sarania জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাবেন।