কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে আজ ৮ জুন থেকে খুলে যাচ্ছে ভারতের ধর্মীয় স্থানগুলো। সরকারী সিদ্ধান্তের পর, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক শপিংমল ধর্মীয় উপাসনা স্থান, রেস্তোঁরা ও হোটেলগুলি সহ কয়েকটি পাবলিক ক্ষেত্র খোলার জন্য বেশ কিছু নিয়মাবলী প্রকাশ করেছে। তবে কন্টেনমেন্ট জোনের মন্দির, উপাসনাগৃহ খোলা যাবে না।
গুয়াহাটির ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থান উগ্রতারা মন্দির পুরোদমে সেনিটাইজ করা হচ্ছে। সরকার-প্রশাসনের নির্দেশানুযায়ী মন্দিরে প্রবেশের পূর্বেই ভক্তদের হাত ভালো করে সেনিটাইজ করতে হবে। এছাড়াও মন্দিরে আসা ভক্তদের নাম-ঠিকানা লেখার জন্যে রেজিস্টার খাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে সব কাজ সামাল দেবার জন্যে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রেগুলোতে কর্মী নিয়োজিত করা হয়েছে।
দীর্ঘকাল ধরে উগ্রতারা মন্দিরের সঙ্গে জড়িত ব্রাহ্মণ-পণ্ডিতেরা নর্থ-ইস্ট নাও’কে জানাচ্ছেন, যদিও আমরা মন্দিরের সঙ্গে জড়িত; কিন্তু আমি একজন বিজ্ঞানের ছাত্র। সুতরাং আমরা অন্ধ নই।ভারত ইতিমধ্যেই করোনা সংক্রমণে বিশ্বের পঞ্চম স্থানে উঠে এসেছে। এটি ভাবার বিষয়। সুতরাং আমাদের সরকারের সমস্ত নির্দেশনা মানতেই হবে।”
তবে সরকারের নির্দেশ থাকলেও অসমের কামাখ্যা মন্দির আজ থেকেই খুলছে না। ৩০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে মন্দিরের দরজা।
ধর্মীয় স্থান, উপসনালয় প্রভৃতি খোলার পাশাপাশি আজ থেকে একইসঙ্গে খুলছে অফিস, রেস্তোরাঁ, হোটেল, শপিং মল।
কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশনাগুলোঃ
১. বিভিন্ন শপিং মলের প্রবেশদ্বারে বাধ্যতামূলক হাতের স্বাস্থ্যকরণ অর্থাৎ হাত স্যানিটাইজার করা এবং থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক।
২. কেবলমাত্র গ্রাহক এবং যারা মলে আসবেন তাঁদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
৩. সমস্ত কর্মী, গ্রাহক বা যারা আসবেন তাঁরা সকলকে মুখে মাস্ক ব্যবহার করলে তবেই মলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
৪. শপিং মলের ভিতরে সর্বদা মাস্ক পড়ে থাকতে হবে সকল কর্মী সহ গ্রাহকদের।
৫. করোনা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কিত পোস্টার / স্ট্যান্ড / এভি মিডিয়া মলে বিশিষ্টভাবে প্রদর্শিত হবে।
৬. সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি নিশ্চিত করার জন্য মল পরিচালন কর্তৃপক্ষ দ্বারা পর্যাপ্ত কর্মী মোতায়েন করা হবে।
৭. যে সকল কর্মচারীরা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছেন, যেমন- বয়স্ক কর্মচারী, গর্ভবতী কর্মচারী এবং যে সকল কর্মচারীদের চিকিত্সা শর্ত রয়েছে তাদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
৮. শপিংমল পরিচালনা কর্তৃপক্ষ বাড়িতে বসেই কাজ করবেন।
৯. সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি অনুসরণ করার সময় পার্কিং এবং চত্বরগুলির বাইরে যথাযথ ভাবে ভিড় পরিচালনা করতে হবে।
১০. ভ্যালেট পার্কিং অপারেটিং কর্মীদেরও মাস্ক এবং গ্লাভস পড়তে হবে। স্টিয়ারিং, ডোর হ্যান্ডলগুলি সহ যানবাহনকে যথাযথ ভাবে জীবাণুনাশ দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
১১. চত্বরের বাইরে এবং মধ্যে যে কোনও দোকান, স্টল, ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদিগুলিতে সর্বদা সামাজিক দূরত্বের নিয়ম অনুসরণ করতে হবে।
১২. সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার জন্য কর্তৃপক্ষকে পর্যাপ্ত দূরত্বে নির্দিষ্ট চিহ্ন তৈরি করে দিতে হবে।
১৩. অগ্রণীভাবে পৃথক প্রবেশ দ্বার এবং পণ্য সরবরাহের জন্য প্রস্থানের উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।
১৪. হোম ডেলিভারি দেওয়ার জন্য কর্মীদের হোম ডেলিভারি দেওয়ার আগে শপিংমল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক থার্মাল স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক।
১৫. শপিংমলে পণ্য সরবরাহ, ইনভেন্টরি এবং পণ্যাদি পরিচালনা করার সময় প্রয়োজনীয় সতর্কতা নিশ্চিত করতে হবে।
১৬. যথাযথ পরিচালনা ও জীবাণুনাশনের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক।
১৭. শপিং মলের ভিতরে প্রবেশের জন্য এবং যতটা সম্ভব ন্যূনতম দৈহিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
১৮. দোকানের ভিতরে থাকা গ্রাহকদের সংখ্যা ন্যূনতম রাখতে হবে।
১৯. সামাজিক দূরত্বের নিয়মাবলী বজায় রেখে লিফটে থাকা মানুষের সংখ্যা সীমাবদ্ধ করতে হবে।
২০. বিকল্প পদক্ষেপে এক ব্যক্তির সাথে এসকেলেটর ব্যবহারকে উত্সাহ দেওয়া হতে পারে
২১. মলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের তাপমাত্রা ২৪-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হওয়া উচিত, আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪০-৭০ শতাংশের এর মধ্যে হতে হবে। যতটা সম্ভব তাজা বাতাস প্রবেশ করানোর চেষ্টা করতে হবে।
২২. ফুড কোর্ট এবং রেস্তরাঁগুলিতে বসার সক্ষমতা ৫০ শতাংশের এর বেশি রাখা যাবে না।
২৩. দরজা , লিফটের বোতাম, বেঞ্চ, ওয়াশরুম ফিক্সার, এসকেলেটর ইত্যাদি ঘন ঘন পরিষ্কার করা
২৪. বাচ্চাদের খেলার ক্ষেত্রগুলি বন্ধ থাকবে।
২৫. শপিংমলের অভ্যন্তরে সিনেমা হলগুলি বন্ধ থাকবে।