নয়া এক ভাইরাস কোভিড-১৯ সারা বিশ্বকে তছনছ করে ফেলছে। প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে অসমেও। এর পাশাপাশি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে টালমাটাল হয়ে পড়েছে অসম।
গত শনিবার অর্থাৎ ২৩ মে’ থেকে তুমুল বৃষ্টির জেরে রাজ্যের প্রায় ৪ জেলার মোট ১০ হাজার মানুষ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মেঘালয়ের জনগণেরও বন্যায় প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
অসমে বন্যার ফলে অধিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে লখিমপুর, শোণিতপুর, দরং ও গোয়ালপাড়া জেলার ৪৬টি গ্রাম।
বন্যাক্রান্ত জেলার জেলাশাসক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ত্রাণ শিবির-সহ ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার এবং পানীয় জল জোগান দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল।
বন্যার জন্যে করোনা সংক্রমণ অসমে আরো বাড়বে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন তিনি। কারণ ত্রাণ বিলি করার সময় বা দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানোর সময় সব ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণ বৃদ্ধি আশংকা থেকে যাচ্ছে।
উল্লেখ্যযোগ্য যে, প্রতিবছরই বন্যা প্রবল প্রভাব পড়ে অসমে। তবে এখনো কোন সুরাহা হয়নি। তদুপরি করোনার তাণ্ডবে পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হয়ে উঠেছে।
রাজ্যে সোমবার দুপুর ১ টা পর্যন্ত কোভিড-১৯ এ ৪২৭ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন। সুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসালয় থেকে ছাড়া হয়েছে ৫৭ জন কোভিড রোগিকে। বর্তমান চিকিৎসালয়ে সক্রিয় রোগির সংখ্যা ৩৬৩। করোনায় সবচাইতে বেশি প্রভাবিত হয়েছে গুয়াহাটি মহানগর।