করোনা সংক্রমণের আশংকার প্রতি লক্ষ্য রেখে ভারতের শীর্ষ আদালতের নির্দেশে রাজ্যগুলোতে বন্দী হয়ে থাকা কয়েদিদের মুক্ত করে দেয়ার কাজ আরম্ভ হয়েছে।
এ পর্যন্ত ৯টি রাজ্য মোট ৪০,০০০ কয়েদিকে অস্থায়ীভাবে জামিনে মুক্ত করে দিয়েছে।
কোভিড-১৯ এ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মহারাষ্ট্র ৭,২০০, মধ্য প্রদেশে ৬,৫০০ এবং পাঞ্জাবে প্রায় ১০ হাজার কারাবন্দীকে জামিনে কারাগার থেকে ছাড়া হয়েছে।
নয়া দিল্লির রোহিনী এবং রাজস্থানের জয়পুর কারাগারে করোনা আক্রান্তের ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্য সরকার অধিক সতর্কভাবে নজর দিচ্ছে সমস্ত বিষয়গুলোর দিকে ।
মহারাষ্ট্র সরকারের তরফ থেকে জানানো মতে, বর্তমান সময় পর্যন্ত ৭,২০০ রও অধিক কারাবন্দীকে মুক্ত করা হয়েছে এবং শীঘ্রই আরো ১০ হাজার কয়েদীকে ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সেন্ট্রাল মুম্বাইর আর্থার রোড কারাগারে ১০০ রও বেশি কয়েদি তথা কর্মচারি করোনার দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।
মধ্য প্রদেশে করোনা সংক্রমণ আরম্ভ হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৬,৫০০ কয়েদিকে জামিনে মুক্ত করা হয়েছে।
এর ৩,৯০০ জন কয়েদীকে পেরোলে এবং ২,৬০০জনকে অন্তবর্তী জামিনে ছাড়া হয়েছে।
তামিলনাডুতে ৬,০০০,উড়িষ্যায় ৭,২০০, পশ্চিমবঙ্গে ৩,০০০, গুজরাটে ২,৫০০, গোয়ায় ৪৪জন এবং ছত্তিশগড়ে ৩,৪১৮জন কয়েদিকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে অসমেও এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারাগার থেকে মোট ৩,৫০০ কয়েদিকে মুক্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে, বিহার সরকার প্রায় ৪,৫০০ কয়েদীকে খালি থাকা কারাগারেগুলোতে কয়েদিকের স্থানান্তর করেছে। রাজ্যে এখনো একজনও কয়েদিকে ছাড়া হয়নি।
ভয়ংকর তথ্যটি ইতিমধ্যে হলো, জয়পুর কারাগারে বন্দী হয়ে থাকা বিচারাধীন এক কয়েদির দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর দেশের শীর্ষ আদালত চিকিৎসার জন্যে জামিন মঞ্জুর করেছে।
অন্যদিকে,পাঞ্জাবের লুধিয়ানা কারাগারেও ৪৮ বছরের এক মহিলা বন্দীর শরীরে কোভিড-১৯ পজিটিভ পাওয়া গেছে।