শুক্রবার অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি ২০২০ থেকে দেশজুড়ে কার্যকর হলো নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অনিল মালিকের তরফে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯, ধারা ১, উপধারা ২ মেনে ১০, জানুয়ারি ২০২০ থেকে আইন কার্যকর করা হল।”
সংশোধনী আইনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নির্যাতনের শিকার হয়ে ভারতে আসা অ-মুসলমানদের (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন) ভারতের নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে।
আইন বলবৎ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে অসম। রাজ্যের দল সংগঠনগুলো বিক্ষোভ শুরু করেছে।
আজ কেন্দ্রীয় সরকারের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে আসু জোর সমদল বের করবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, বিজেপিশাসিত অসমসহ উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, পশ্চিমবঙ্গ, রাজধানী নয়া দিল্লিতে বিক্ষোভ ঘিরে ঘটেছে হিংসার ঘটনা।
বিক্ষোভের আঁচ এতটাই তীব্র ছিল যে রাজ্য প্রশাসনকে উত্তরপ্রদেশের একাধিক জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে।
অসমে প্রায় সপ্তাহখানেক বন্ধ রাখতে হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। বাংলাতে প্রতিবাদ ঘিরে হিংসা মারাত্মক আকার ধরেছে।
মমতা রাজ্যে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা গণমিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে সিএএ, এনআরসি, এনআরপি বিরোধিতায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
কেন্দ্র শাসক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এমনকি বাংলার রাজ্যপাল ধনকড়ও কিন্তু তৃণমূল সুপ্রিমোকে একচুলও জমি ছেড়ে কথা বলেননি।
রাজ্যের রাজ্যপাল ভিডিও পোস্ট করে সোচ্চার হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। যে মমতা ২০০৫ সালে সংসদে নাগরিকত্ব আইনের জন্যে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন হাতের ফাইল, যে মমতা সেদিন সংখ্যালঘুদের জন্যে চোখের জল ফেলেছিলেন, সে মমতা কি করে ১৮/১৯ বছর পর নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিপক্ষে গলা ফাটাচ্ছেন? মুসলিম ভোট হ্রাস পাওয়ার ভয় তৃণমূল সুপ্রিমোর!
ভোট ব্যাংকে টান পড়ার ভয় পশ্চিমবঙ্গ মুখ্যমন্ত্রীর। তাই কাদা খেলায় মেতেছেন! সরব বিজেপি।
মোদি সরকারের দাবি নয়া আইন মানবতার প্রতীক। ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি নয়, উল্টে এতদিন যারা নানা কারণে শরণার্থী ছিলেন তাদের নাগরিকত্ব প্রদান করে সম্মানিত করা হবে। এই আইন কোনও নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। সিএএ কোনও বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না, বরং এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকক্ত প্রদান করা হবে। পদ্ম বাহিনীর দাবি, প্রতিবেশী তিন দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু নিপীড়িতদের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, ধরে নেওয়া হচ্ছে মুসলিম প্রধান দেশে ধর্মীয় সংখ্যাগুরুদের ওপর ধর্মীয় অত্যাচার হয় না। তাই মুসলমানদের নয়া আইন থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।