হাইলাকান্দি পুলিশের বড়সড় সাফল্য! জেলার এক কুখ্যাত ড্রাগস ব্যবসায়ী ধরা পড়লো হাইলাকান্দি পুলিশের জালে।
গোপন সূত্রের ভিত্তিতে সদর থানার টাউন দারোগা (টিএসআই) সেইজাং সাংলই-র নেতৃত্বে পুলিশ রবিবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে কুখ্যাত ড্রাগস কারবারী রুবুল ইসলাম লস্কর ওরফে লালনকে তাঁর নারাইনপুর রোডের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইলাকান্দি শহরের পাঁচ নম্বর পুর ওয়ার্ডের নারাইনপুর রোডের বাসিন্দা সোনা মিয়া লস্করের বছর ত্রিশের ছেলে রুবুল ইসলাম লস্কর (লালন) দীর্ঘ বছর ধরে ড্রাগস ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত।
নারাইনপুর তৃতীয় খণ্ডের খলিল উদ্দিনের ভাড়া বাড়িতে থেকে লালন তাঁর ড্রাগস ব্যবসায়ের জাল বিস্তার করেছিল। ড্রাগস সেবনকারীরা তার কাছ থেকে এসব সামগ্রী কিনে নিতেন।
পুলিশের কাছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য আসার পর হাইলাকান্দি সদর থানার এক পুলিশ কর্মী ড্রাগস কারবারী রুবুল ইসলাম লস্কর ওরফে লালনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন গত ১৯ জুন।
সদর থানায় ৬৪১/১৯, ইউ/এস ২১(বি) ২৭ এনডিপিএস অ্যাক্টে মামলাটি নথিভুক্ত হয়। মামলার সূত্র ধরে পুলিশ অভিযুক্তকে পাকড়াও করতে রীতিমতো ওঁত পেতে ছিল।
শেষমেশ রবিবার বেলা আনুমানিক একটা নাগাদ ড্রাগস ব্যবসায়ী মূল পান্ডা রুবুল ইসলাম লস্কর ওরফে লালনকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এদিন গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে লালন বাড়িতে রয়েছে।
খবর পেয়ে টিএসআই সেইজাং সাংলই, আব্দুল আজিজ-এর নেতৃত্বে পুলিশ দল শহরের পাঁচ নম্বর পুর ওয়ার্ডের নারাইনপুর রোডের রুবুল ইসলাম লস্কর ওরফে লালনের বাড়িতে গিয়ে তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়। পরে তাকে সদর থানায় এনে টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালান পুলিশের কর্তারা।
টিএসআই সেইজাং সাংলই জানিয়েছেন, ধৃত লালন জেলার কুখ্যাত ড্রাগস ব্যবসায়ী। এদিন তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও এর আগে তার এক সঙ্গী নারাইনপুর চতুর্থ খণ্ডের বাসিন্দা আলম উদ্দিন বড়ভূইয়াকে গত ১৯ জুন পাকড়াও করে পরে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।
আর রবিবার রুবুল ইসলাম লস্কর ওরফে লালনকে গ্রেফতার করে বিকেলে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেন। তবে টিএসআই সাংলই জানিয়েছেন, যে ভাড়া বাড়িতে থেকে লালন ড্রাগডের কারবার করতো সেই বাড়ির মালিক খলিল উদ্দিন এযাবৎ পলাতক। তাকে গ্রেফতার করতে জাল বুনেছে হাইলাকান্দি পুলিশ, আর সেও শীঘ্রই পুলিশের জালে ধরা পড়বে।
লালনের মতো এক কুখ্যাত ড্রাগস ব্যবসায়ী ধরা পড়ায় এটা পুলিশের কাছে বড় সাফল্য বলে দাবি করছেন টিএসআই।