বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কাটিগড়ার বিভিন্ন অঞ্চল পরিদর্শন করেন কাছাড়ের জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরী। সোমবার কাটিগড়া হাওর অঞ্চল সহ পূর্ব ও দক্ষিণ কাটিগড়ার বিস্তৃর্ণ অঞ্চল পরিদর্শন করার পাশাপাশি বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে আশ্রিত বন্যার্তদের খোঁজখবর নেন ডিসি সহ কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন ও সার্কল অফিসার জীতেন টাইড এবং অন্যান্য সরকারী কর্মী আধিকারিকরা।
বৃহত্তর কাটিগড়ায় এখন পর্যন্ত মাদারপুর পাবলিক এমই মাদ্রাসা,২২৭ নং সূর্যমনি এলপি স্কুল,১৬১৭ দক্ষিণ হরিনগর এলপি স্কুল ও নাতানপুর সহ চারটি ত্রাণশিবির খোলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সরকারি হিসেবে মতে ৪টি ত্রাণ শিবিরে ৩২০ জন আশ্রিত রয়েছেন।৪টির মধ্যে নাতানপুর ছাড়া ৩টি ত্রাণ শিবিরে প্রাথমিকভাবে সাড়ে চার কুইনটালেরও বেশি চাল সরবরাহ করা হয়েছে বলে সরকারী সুত্রের খবর।
নাতানপুরের ত্রাণ শিবিরে আশ্রিত বন্যার্তদের ত্রাণ সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারীভাবে রিপোর্ট করা হয়েছে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত,কাটিগড়ার বন্যা পরিস্থিতি জেলাশাসক সহ অন্যান্য বিভাগীয় আধিকারিকরা তৎপর রয়েছেনষ এবং ইতিমধ্যে জেলাপ্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশও জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে বরাক নদীর জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মফঃস্বলীয় এলাকায় দ্রুতগতিতে নদীর জল ঢুকছে। কাটিগড়ার হাওর অঞ্চল সহ পূর্ব ও পশ্চিম কাটিগড়ায় এর ব্যাপক প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। নদী নালা খাল বিলে হু হু করে বাড়ছে জল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কও বাড়ছে বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে।
কাছাড় জেলা প্রশাসনের পাশাই কাটিগড়া মহকুমা প্রশাসনও বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে এবং ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রতিটি লাইন ডিপার্টমেন্টের কর্মী আধিকারিকদের তৎপর থাকার নির্দেশও ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে বলে দুর্যোগ মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গেছে।
এদিকে হরিনগর,করইকান্দি, সৈদপুর,ভটেরচক,জালালপুর, মহাদেবপুর সহ বিস্তৃত অঞ্চল এই মূহুর্ত্যে জলমগ্ন হয়ে পড়ার পাশাপাশি সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর বেশ কয়েকটি সেনা শিবির জলমগ্ন হয়ে রয়েছে।
ডিসি লায়া মাদ্দুরী স্পষ্ট ভাষায় জানান সরকারীভাবে বন্যাপীড়িতদের সবরকমের সাহায্য সহায়তায় প্রস্তুত জেলা প্রশাসন । একইসঙ্গে ত্রাণবন্টনে কোনও ধরনের অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না বলে আগাম সতর্কবার্তা দিলেন ডিসি।