পশ্চিমবঙ্গ, অসমে এক ধাক্কায় মুরগির বিক্রি ৩/৪ সপ্তাহে হ্রাস পেয়েছে ৪০ শতাংশ।
হঠাৎ মুরগির ওপর এতটা প্রভাব পড়ার কারণ কী?
পোলট্রি ফেডারেশনের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, মারাত্মক করোনা ভাইরাসের নাম জুড়ে এবং একইসঙ্গে রুগ্ন মুরগিদের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জনগণের মধ্যে মিথ্যে আতংক সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সত্যই আমাদের অশেষ উপকার করে তথ্য জানার জন্যে। কিন্তু চোখ-কান অবশ্যই খোলা রাখতে হবে সেগুলোর সত্যাসত্য যাচাই করে বিশ্বাস করার দিকে।
পশ্চিমবঙ্গ-অসমের বিভিন্ন জেলার পোলট্রি ব্যবসায়ীরা অভিযোগ জানাচ্ছেন, ভুয়া প্রচার তাঁদের বিক্রি তলানিতে এনে ঠেকিয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা বারংবার জানাচ্ছেন, এই ভীতির নিজস্ব কোন ভিত্তি নেই।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এ সবই মানুষের রটানো ভয়। করোনাভাইরাসের যা প্রকৃতি, তাতে তা নির্দিষ্ট কিছু বাদুড় ও সাপের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই মুরগির মাংসে তা আসতে পারে না। ভারতীয় মুরগির শরীরে এই ভাইরাস-বিষ থাকা অসম্ভব।
তবে রোগ ছড়ালে তো কিছু বাড়তি সতর্কতা নিতেই হবে। তাই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে অবশ্যই।
‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা’ (ডাব্লিউএইচও) ভারতীয়দের মাংস খাওয়ায় কোনো সমস্যা দেখছে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাংস থেকে করোনাভাইরাস ছড়াতে পারার দাবি ভুয়া এবং পুরো ভিত্তিহীন। এমন আতঙ্ক না ছড়ানোর জন্যে অনুরোধ জানিয়েছে ডাব্লিউএইচও।
তবে সাবধানতা কিছু অবলম্বন করতে হবে। যা আমাদের সবসময়ই করা উচিৎ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাংস কেনার পর খুব পরিষ্কার করে অনেকবার ধুয়ে নিতে হবে।
অসুস্থ মুরগি বুঝতে পারলে তা কিনবেন না। করোনাভাইরাস না ছড়ালেও অন্য অসুখ দানা বাঁধতে পারে এতে।
রান্নার সময় ভাল করে সেদ্ধ করে নিন। প্যাকেটজাত মাংস বা ফুড কিনতে পাওয়া যায় যে সব মাংস, সেখানে প্রিজারভেটিভ মেশানো থাকে। করোনার ভয়ে নয়, প্রিজারভেটিভ থেকে হওয়া ক্ষতি ঠেকানোর জন্যে এ সমস্ত খাবেন না। কাজেই ভালো করে সেদ্ধ করে নিশ্চিন্তে খান মাংস।
এছাড়া করোনার বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু সজাগতা জারি করা হয়েছে। অবশ্যই হাত বারবার সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন। খাওয়া-দাওয়ার আগে অবশ্যই।
#কম্পিউটারের কি-বোর্ড, মাউস প্রভৃতি ধরে যখন তখন মুখে-চোখে হাত দেবেন না।
#মাস্ক ব্যবহার করুন।
#জ্বর-সর্দি হলে সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ডাক্তার দেখান।
সুস্থ মনে সুস্থ দেহে বাঁচুন প্রত্যেকে। কোন প্রকার গুজবে কান দেওয়ার প্রয়োজন নেই।