অসম সামুদায়িক নজরদারি কার্য্যক্রমের (এএসসিপি) মাধ্যমে ইনফ্লুয়েঞ্জা লাইক লাইনস( আইএলআই ) ও সিভিয়ার এক্যুট রেসপিয়াটরি লাইনস(সারি) এই দুটি স্বাস্থ্যবিধি পরীক্ষণে ঘরে ঘরে পৌঁছাবে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিনিধিদল । আশাকর্মীর মাধ্যমে প্রাথমিক সার্ভের উপর ভিত্তি করে কফ,সর্দি,জ্বর পরীক্ষা করার পাশাপাশি সোয়াব পরীক্ষা করা এবং প্রয়োজনীয় যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো বিষয় নয়। সুতরাং পরীক্ষা-নীরিক্ষাকে ঘিরে কোনো অবস্থায় আতঙ্ক না ছড়ানোর আহ্বান জানান বিশেষজ্ঞরা।কাছাড়ের জালালপুর স্বাস্থ্য ব্লকের উদ্যোগে শনিবার সাতসকালে কাটিগড়া সার্কল অফিস প্রাঙ্গণ থেকে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে অসম সামুদায়িক নজরদারি কার্য্যক্রমের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন।
সূচনালগ্নে প্রায় ১৮টি স্বাস্থবিষয়ক দল বৃহত্তর কাটিগড়ার বিভিন্ন এলাকায় রওয়ানা করে এদিন। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য অভিযানের অন্তর্গত কাছাড় জেলার সবকটি স্বাস্থ্য ব্লকে অসম সামুদায়িক নজরদারি কার্য্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই অঙ্গ হিসেবে জালালপুর স্বাস্থ্য ব্লকের উদ্যোগে শনিবার থেকে আগামী ১০ জুন পর্যন্ত এই কার্য্যক্রম চলবে। এরআগে সার্কল অফিসারের পৌরহিত্যে এনিয়ে এক আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে গোটা কার্যক্রমের সফলতা নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বক্তব্য রাখেন উপস্থিত কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন। বলেন, গোটা দেশ বর্তমানে ভয়াবহ ভাইরাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ নিয়েছে। এই যুদ্ধে অবশ্যই জয়ী হবে দেশ। দৃঢ়তার সঙ্গে ই বিধায়ক বলেন, সকলের সম্মেলিত প্রচেষ্টায় খুব শীঘ্রই ভাইরাসমুক্ত সবল,সুশীল ও সুস্বাস্থ্যবান দেশ গঠন হবে।
অসম সামুদায়িক নজরদারি কার্য্যক্রমের উদ্দেশ্য নিয়ে জালালপুর স্বাস্থ্য ব্লকের এসডিএমও সুমন ভৌমিক বলেন, আইএলআই ও সারি-এর মাধ্যমে বৃহত্তর কাটিগড়ার প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রাথমিক সার্ভে করবেন আশাকর্মীরা। পরে সার্ভের ভিত্তিতে কফ,সর্দি,জ্বর পরীক্ষা করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শারিরীক পরীক্ষণে ত্রুটি ধরা না পড়ে,তাহলে প্রাথমিক চিকিৎসা করে প্রয়োজনসাপেক্ষে বিনামূল্যে ঔষধপত্রাদি প্রদান করা হবে সংশ্লিষ্টদের। সারি-র ক্ষেত্রেও অনুরূপ নির্দেশাবলী অনুসরণ করে পরীক্ষা করা হবে।
তবে সারি-র ক্ষেত্রে বিষয়টি আংশিক জটিল । দীর্ঘদিনের পুরোনো কফ,সর্দি,জ্বরের প্রবণতা দেখা দিলে শারিরীক পরীক্ষণের বিষয়টি পঙ্খানুপঙ্খভাবে খতিয়ে দেখা হবে। প্রয়োজনে বিভাগীয় ল্যাব টেকনিশয়ানরা সোয়াবও পরীক্ষা করতে পারে। এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হতে পারে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই,বললেন ডঃ সুমন ভৌমিক। প্রাসঙ্গিক বক্তব্য রাখেন কাটিগড়া মডেল হাসপাতালের অধীক্ষক ডঃ রত্না চক্রবর্তী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন উপস্থিত বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।