অসমের নব নিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বুধবার গুয়াহাটির শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্রের মাধবদেব প্রেক্ষাগৃহে রাজ্যের মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষদের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের সামনে এক বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে কঠোর ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে অধ্যক্ষদের হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
জানিয়ে দিয়েছেন, মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কোনপ্রকার সরকার বিরোধি বার্তা দিতে পারবেন না।
“নেক্সট টাইম মিটিংয়ে যদি আমি কোন শিক্ষককে সরকার বিরোধি হতে দেখি, রাতের ভিতর সাসপেনশন অর্ডার বেরিয়ে যাবে। কাউকে যদি টেলিভিশনে ভাষণ দিতে দেখি তাহলে প্রথম অবস্থায় আমাকে বোঝাতে হবে।”
শুধু তাই নয়, তিনি আরো বলেন, সিএএ নিয়ে শুধুমাত্র প্রতিবাদ করলে অথবা নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরলে হবে না। এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হোক, তর্ক প্রতিযোগিতা হোক। তাহলেই রাজ্যবাসী সংশোধনী আইনের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক বিষয়গুলো বুঝতে পারবে। এবং একটি জাতি বৌদ্ধিকভাবে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কন্ঠে ক্ষোভ শিক্ষক সমাজের প্রতি। মহাবিদ্যালয়ের কোন শিক্ষক রাজপথে প্রতিবাদে শামিল হতে পারবেন না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিন সামান্য রাজনৈতিক কথাবার্তার পর মন্ত্রী শর্মা সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের মাসে ৭০০ টাকা করে ১০ মাসের জন্যে মোট ৭০০০ টাকা সাহায্য করা হবে।
আগামি ১০ ফেব্রুয়ারির পূর্বে পড়ুয়াদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই টাকা জমা করা হবে।
এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক অবস্থায় ২০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীকে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।