শিশুর পুষ্টিহীনতা দূর করার লক্ষ্যে মধ্যাহ্ন ভোজন প্রকল্প হাতে নেয়া খোদ রাজ্য সরকারই এবার শিশুর খাদ্য নিয়ে হেলদোল শুরু করেছে।
অনুপযুক্ত, অপুষ্টি খাবার যোগান দেওয়ার জন্যে নয়া দিল্লিতে ব্ল্যাক লিস্টেড হওয়া এনজিও-কে অসমে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মধ্যে খাদ্য বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে সরকার শিশুর জীবন নিয়ে হেঁয়ালি শুরু করে দিয়েছে।
এর সম্পূর্ণ তথ্য নর্থ ইস্ট নাও-য়ের হাতে রয়েছে।
আমাদের হাতে থাকা তথ্যানুযায়ী ২০১৩ সালে নিম্নমান এবং কীট-পতঙ্গ ভরা খাদ্য ছাত্র-ছাত্রীর মধ্যে বিতরণ করে দিল্লিতে ব্ল্যাক লিস্টেড হয়েছিল ঘনশ্যাম সেবা সমিতি নামক একটি NGO।
একই বছরের ৮ আগস্ট তারিখে নয়া দিল্লি সরকার একটি নির্দেশের মাধ্যমে ব্ল্যাক লিস্টেড করেছিল উক্ত সেবা সমিতিকে।
নির্দেশে স্পষ্টভাবে উল্লেখিত রয়েছে, ঘনশ্যাম এনজিও বিতরণ করা মধ্যাহ্ন ভোজনে মানুষের চুল, কেঁচো, টিকটিকি এবং অন্যান্য পোকার উপস্থিতি ধরা পড়ার জন্যে তাঁদের সঙ্গে থাকা চুক্তি বাতিল করেছে।
কিন্তু বহিঃরাজ্যের এই সেবা সমিতিকে অসম সরকার মিড-ডে মিল প্রকল্পে এবার খাদ্য বিতরণের ঠিকে দিয়েছে এবং শুক্রবার থেকে আরম্ভ হওয়া এই কার্য তিনসুকিয়া, শিবসাগর, ধুবড়ি জেলার বিদ্যালয়ে এই বেসরকারি সংস্থাটি পড়ুয়াদের মধ্যাহ্ন ভোজন বিতরণ করেছে।
মিড-ডে মিল বানানো সকল রাঁধুনিদের নিজেদের কার্য থেকে সরিয়ে দিয়ে এবং ব্ল্যাক লিস্টেড এনজিও-কে খাদ্য বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে চারদিকে যথেষ্ট সমালোচনার সম্মুখীন হচ্ছে সর্বানন্দ সরকার।
সরকারের এই নির্মম সিদ্ধান্তে সরব হয়েছে ছাত্র মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতি, প্ৰদেশ কংগ্রেসের পাশাপাশি আরো বহু দল।
শনিবার, গুয়াহাটির রাজিব ভবনে একটি সংবাদ মাধ্যমকে সম্বোধন করে ব্ল্যাক লিস্টেড NGO-কে কেন রাজ্যের শিক্ষা বিভাগ মধ্যাহ্ন ভোজনের দায়িত্ব প্রদান করেছে এই নিয়ে তীব্র প্রশ্ন করেছেন প্রদেশ কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ দুর্গাদাস বড়ো।
ছাত্ৰ মুক্তি সংগ্ৰাম সমিতি মধ্যাহ্ন ভোজনের দায়িত্ব ব্ল্যাক লিস্টেড NGO-কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে পূর্বের মতো রাঁধুনিদের দিয়েই পুষ্টিকর ও সুস্বাদু খাবার পরিবেশনের আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের প্রতি।