হাইলাকান্দি জেলা বিজেপি কার্যালয়ে উত্তাল প্রতিবাদ। প্রাক্তন কংগ্রেসি মন্ত্রী গৌতম রায়কে বিজেপিতে অন্তর্ভূক্তির প্রতিবাদ দলীয় কর্মী সহ পদাধিকারীদের। প্রদেশ বিজেপি সাংগঠনিক সম্পাদক ফণীন্দ্রনাথ শর্মার সম্মুখে গৌতম রায়কে বহিষ্কারের দাবী বিজেপি কর্মীদের।
প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়ের বিজেপি যোগদানকে কোনও ভাবেই ভালো চোখে দেখতে পাড়ছেন না বিজেপির একাংশ কর্মী।
গত রবিবার গৌতম রায়ের বিজেপি যোগদানের পর থেকেই জেলার সাধারণ কর্মী মহলে বিরাজ করছিল চাপা ক্ষোভ আর নিরবতা। গৌতমের যোগদানের পর আয়োজিত আনন্দ উৎসবেও দেখা যায়নি বিজেপির কোন সক্রিয় সদস্যকে।
বিজেপিতে থাকা এবং যোগদানে ইচ্ছুক গৌতম রায়ের প্রাক্তন অনুরাগীরাই আয়োজন করেন এই আনন্দ উৎসবের।
গৌতম অনুরাগীদের এই বাড়বাড়ন্ত কাটা গায়ে নুনের ছিটের কাজ করে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে।
আর মঙ্গলবার দলের প্রদেশ কমিটির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক হাইলাকান্দি সফরে এলে দলীয় কর্মীরা নিজেদের সমস্ত ক্ষোভ উগরে দেন তাঁর সম্মুখে।
এদিন দুপুর ১টা নাগাদ একাদশ শহীদ স্মরণীর দলীয় কার্যালয়ে এসে উপস্থিত হন প্রদেশ বিজেপি সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক ফণীন্দ্রনাথ শর্মা সহ অন্যান্য পদাধিকারীরা।
দলীয় কার্যালয়ে এসে জেলা কমিটির পদাধিকারী এবং মণ্ডল সভাপতিদের উপস্থিতিতে দলের সদস্যভর্তী সম্বন্ধীয় এক সভায় মিলিত হন তারা। কিন্তু সভা শুরুর কিছু সময়ের মধ্যেই বিজেপি তৃণমূল কর্মীরা সভায় এসে গৌতম রায়কে দলে অন্তর্ভূক্তির কারণ জানতে চান।
তারা জেলা সভাপতি সুব্রত নাথকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে গৌতম রায়ের অন্তর্ভূক্তির পেছনে ষড়যন্ত্র থাকার অভিযোগ উত্থাপন করেন। বিজেপি কর্মীরা সুব্রত নাথ এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে গৌতম রায়ের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের ও অভিযোগ উত্থাপন করেন।
সাধারণ কর্মী ছাড়াও বিজেপি হাইলাকান্দি জেলার পদাধিকারীরাও গৌতম রায়কে বিজেপিতে অন্তর্ভূক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁকে অতি সত্তর বহিষ্কারের ও দাবী উত্থাপন করেন।
দলীয় কর্মীদের এই প্রতিবাদে এক সময় উত্তাল হয়ে উঠে জেলা বিজেপি কার্যালয়। হাতে চেয়ার নিয়ে মারমুখী মেজাজে দেখা যায় বেশ কিছু কর্মীকে। তারা জেলা সভাপতি সুব্রত নাথের পদত্যাগ ও দাবী করেন। শেষে প্রদেশ বিজেপি নেতারা এই ক্ষোভের কথা উচ্চ পর্যায়ে জানানোর আশ্বাস দিয়ে এই কর্মীদের ক্ষান্ত করেন।
পরে স্থানীয় আবর্ত ভবনে সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ফণীন্দ্রনাথ শর্মা জানান, তিনি সাংগঠনিক সভা করতে এখানে এসেছিলেন। আর দলীয় কর্মীরা তাকে কাছে পেয়ে নিজের মনের কথা খুলে বলেছেন। কিন্তু পরে সুষ্ঠ ভাবেই নির্ধারিত সভা করা হয়েছে।