শিলচর: আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (ASSAM UNIVERSITY) সমাবর্তনে ছাত্র-ছাত্রীদের গাউন ও টুপির পরিবর্তে ভারতীয় পোশাক পরানোর নামে আড়াই কোটি টাকার কেলেঙ্কারি হয়েছে যার লভ্যাংশ পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদে আসীন কর্মীরা।
এই অভিযোগ তুলে এবার সমগ্র ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানাল BARAK Democratic youth front।
এক প্রেস বার্তায় যুব ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন যে কিছুদিন আগে তাঁরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়ম রুখতে ও মানোন্নয়নের লক্ষ্যে বরাকের শিক্ষাবিদ ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে একটি পরামর্শদাতা কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন।
তাঁদের আশঙ্কা এবং উদ্বেগ যে মিথ্যা ছিলনা সাম্প্রতিক এই ঘটনা সেটাই প্রমাণ করল। তিনি বলেন সামান্য উত্তরীয় ও জহরকোটের বিনিময়ে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে আড়াই হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে,যা আবার সমাবর্তন শেষ হবার পর কতৃপক্ষকে ফিরিয়ে দিতে হয়েছে।
সামান্য কয়েক ঘন্টা ব্যবহারের বিনিময়ে এই পোশখকের ভাড়া আড়াই হাজার টাকা হতেই পারে না। তাই এটি পরিকল্পিত দুর্নীতি। তিনি বলেন যে তাঁরা সন্দেহ করছেন যে সংশ্লিষ্টরা এরকম ভাবে আরো অনেক কেলেঙ্কারি সংগঠিত করছেন,যা প্রকাশ্যে আসছে না।
তাই আপাতত এই পোশাক কেলেঙ্কারির ব্যাপারে তিনি অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। যুবফ্রন্টের আরেক আহ্বায়ক বাহার আহমেদ চৌধুরী বলেন যে একদিকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় রাঙ্কিং এ ক্রমাগত অবনয়ন হচ্ছে অন্যদিকে দুর্নীতির খবর আসছে।
তিনি বলেন এরকম চললে শেষ অবধি পাঁচ গ্রাম কাগজকলের মতো এই বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ হবে। বরাকের ২৫ লক্ষ মানুষের দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন পরিণতি হোক তা কোনভাবেই কাম্য নয় এবং তা কিছুতেই মেনে নেবেনা বিডিওয়াইএফ।
তিনি বলেন অবিলম্বে সমস্ত ব্যাপারে সংশোধনী পদক্ষেপ না নিলে এ নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে যুবফ্রন্ট। বিডিওয়াইএফ এর পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক দেবায়ন দেব।