শিলচর: কামতাপুরকে পৃথক রাজ্যের স্বীকৃতি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে বলে একাংশ সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। শোনা যাচ্ছে সদ্য আত্মসমর্পণ কারী কেএলও প্রধান জীবন সিং কে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যস্থতায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সাথে এই ব্যাপারে আলোচনা চলছে,যদিও মুখ্যমন্ত্রী তা অস্বীকার করেছেন।
যদি কামতাপুরকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দেবার উদ্যোগ নেওয়া হয় তবে দীর্ঘদিনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে পৃথক বরাকের দাবিকেও মান্যতা দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর মূখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়।
এদিন এক প্রেস বার্তায় বিডিএফ মূখ্য আহ্বায়ক বলেন যে অসমিয়া আধিপত্যবাদ মেনে নিতে রাজি হয়নি বলে আসাম থেকে একে একে বিযুক্ত হয়েছে মেঘালয়, মিজোরামের মতো রাজ্যগুলি। বোড়োল্যান্ড সহ আরো অনেক অঞ্চল থেকেও একই দাবি উঠছে।
একমাত্র বরাক উপত্যকার বাঙালিরা সমন্বয়ে বিশ্বাসী বলে এখান থেকে এই দাবি বিগতদিনে তেমন জোরদার হয়নি। কিন্তু ক্রমাগত বঞ্চনা, বৈষম্যের শিকার এই উপত্যকার জনগন এবার আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার চাইছেন।তাই বিভিন্ন মহল থেকে পৃথকীকরণের দাবি জোরদার হচ্ছে।
প্রদীপ বাবু বলেন যে একই ভাবে গত দশবছর ধরে ডিমাসারা ডিমারাজি রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। ইদানীং একটি ডিমাসা সংগঠন এই ব্যাপারে সভাসমিতিও করেছেন। তাঁদের প্রস্তাবিত পৃথক রাজ্যের মানচিত্রে বরাকের তিন জেলাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রদীপ বাবু বলেন ডিমাসা নেতৃত্বের তাঁদের সাথে যৌথভাবে এই দাবি উত্থাপন করতে আগ্রহী রয়েছেন ও প্রাথমিক আলোচনা করেছেন । তিনি বলেন যদি এই ব্যাপারে ডিমাসা নেতৃত্বের সত্যিকারের আগ্রহ থাকে তবে দু’পক্ষের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে এই ব্যাপারে এগোতে তাঁদের আপত্তি নেই।
সেক্ষেত্রে বরাক উপত্যকা,ডিমাহাসাও ও কার্বিয়াংলং নিয়ে একটি পৃথক রাজ্যের দাবি উঠতেই পারে। তবে বিস্তৃত আলোচনা ও সহমতের ভিত্তিতে সেটির রূপরেখা তৈরি করতে হবে এবং সমগ্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও স্পষ্টতা জরুরী।
প্রদীপ বাবু বলেন যে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে জনগনের মতামত জানা ও বোঝা জরুরী। তাই তিনি বরাকের সবাইকে এই ব্যাপারে চিন্তাচর্চা করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে এই খবর জানিয়েছেন।