শিলচর: সাম্প্রতিক বন্যায় অসমের (Assam) অর্থনীতি যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষতঃ ব্যবসায়ী,যারা সাধারণত স্থানীয় দুর্গাপুজো (Durga puja) কমিটিগুলোকে আর্থিক সহায়তা করে থাকেন তাঁরা এবার সেই অবস্থায় নেই।
তাই যেভাবে গত বিহু উৎসবে বিভিন্ন কমিটিকে আর্থিক অনুদান দিয়ে অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন সেভাবেই তাঁকে রাজ্যের (Assam) বাঙালিদের (Bengali) আসন্ন জাতীয় উৎসব দুর্গাপূজোয় (Durga puja) কমিটিগুলোকে যথাসম্ভব আর্থিক অনুদান দেবার আর্জি জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (BDF)।
এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে এই ব্যাপারে ইতিমধ্যে অসমের বরাকের বিধায়ক কমলাক্ষ্য দে পুরকায়স্থ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে আর্জি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন বিডিএফ (BDF) তাঁর এই উদ্যোগকে স্বাগত ও পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে। প্রদীপ বাবু বলেন যে বিহু যেমন জাতীয় উৎসবের স্বীকৃতি পেয়েছে তেমনি দুর্গাপুজোও (durga puja) বহু আগে থেকেই ধর্মীয় গন্ডি ছাড়িয়ে জাতীয় উৎসবে রূপান্তরিত হয়েছে।
শুধু বাঙালি (Bengali) নয় জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সবাই এই উৎসবের অংশিদার হন। তিনি বলেন এই রাজ্যে বাঙালিদের (Bengali) পাশাপাশি এক বৃহৎ সংখ্যক অসমিয়াভাষি এবং নেপালি মানুষও দুর্গাপুজো (Durga puja) করে থাকেন।
অসমের (Assam) গুয়াহাটিতে মূলত অসমিয়াভাষিদের জন্যই এই উৎসবে দৃষ্টিনন্দন প্যান্ডেল,প্রতিমা ও আলোকসজ্জার আয়োজন হয় এবং উৎসবের আনন্দে সবাই সামিল হন।
তিনি বলেন যেভাবে বিগত বন্যা রাজ্যের (Assam) অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে , বিশেষতঃ শিলচর সহ বরাকের (Barak) জনগণের তাকে পুষিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সময় লাগবে।
তিনি আরো বলেন যে ‘আমরা দেখেছি বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী (assam CM) হিন্দু সংস্কৃতি ও কৃষ্টি রক্ষার্থে যত্নবান ও সদাতৎপর তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পুজো কমিটি গুলোকে আর্থিক অনুদানের জন্য আমরা তার প্রতি বিশেষ আর্জি জানাচ্ছি’।
বিডিএফ (BDF) মুখ্য আহ্বায়ক এই মর্মে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ,বজরং দল, আর এস এস সহ রাজ্যের (Assam) বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের কর্মকর্তাদেরও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রাজ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম গোষ্ঠীর এই উৎসবে আর্থিক সহায়তার জন্য তদ্বির করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
এছাড়া তিনি পুজো কমিটি গুলির কর্মকর্তাদেরও এই মর্মে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ পত্র পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছেন। বিডিএফ (BDF) মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।