শিলচর: সম্প্রতি অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে দিল্লিতে কেবিনেট বৈঠক করে তড়িঘড়ি বরাকসহ (barak) আসামের বিভিন্ন জেলার সীমানা সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
Barak উপত্যকার জনগণের সুবিধা, অসুবিধার কথা চিন্তা না করে সম্পূর্ণ স্বৈরাচারী এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করল Barak Democratic front।
এক রেকর্ডেড প্রেস বার্তায় বরাক ডেমোক্রেটিক যুবফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন যে মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে কাটিগড়ার ১৭ টি রাজস্ব গ্রামকে হাইলাকান্দি ও karimganj জেলায় জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
একই ভাবে বদরপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাকে cachar জেলার সাথে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর যুক্তি হিসেবে সরকারের তরফে আইন শৃঙ্খলা সহ যোগাযোগ ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা বলা হয়েছে।
কল্পার্ণব বলেন যে এই যুক্তি যে অসার বাস্তব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলে তা জলের মতো স্পষ্ট হয়ে যায়। তিনি বলেন কাটিগড়ার যে বারটি রাজস্ব গ্রাম করিমগঞ্জের সাথে যুক্ত করা হয়েছে তাতে একমাত্র টুকরগ্রাম ছাড়া বাকি সবকয়টি গ্রামের জনগনকে প্রশাসনিক কাজ সারতে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে করিমগঞ্জ জেলা সদরে যেতে হবে কারণ barak নদী পেরিয়ে করিমগঞ্জ যাওয়ার এদের কোন সরাসরি ব্যাবস্থা নেই।
একই ভাবে পূর্ব কাটিগড়ার যে গ্রামগুলিকে হাইলাকান্দি জেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারাও বরাক নদী পেরিয়ে সরাসরি জেলা সদরে যেতে পারবেন না। তারজন্য সেই বদরপুরের গ্যামন সেতু পেরিয়ে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হবে যেখানে শিলচরের সাথে তাদের দূরত্ব মাত্র ১৫ কিলোমিটার।
করিমগঞ্জের সাথে রেলশহর বদরপুরের দূরত্ব ২১ কিলোমিটার। এবার নতুন জেলাসদর শিলচরের সাথে তাদের দূরত্ব হবে ৩৪ কিলোমিটার। ফলে জনগণের সময়,অর্থের অপচয়, ভোগান্তি সবকিছুই বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন যারা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা ‘গ্রাউন্ড রিয়ালিটি’কে ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গেছেন এবং তাই যোগাযোগ ও প্রশাসনিক যে সুবিধার কথা বলা হচ্ছে তার কোন ভিত্তি নেই।
যুবফ্রন্টের মূখ্য আহ্বায়ক আরো বলেন যে একই ভাবে রাজনৈতিক স্বার্থে ১৯৮৯ সালে তৎকালীন বিধায়ক শইদুল আলম চৌধুরী কাটিগড়া সার্কলকে হাইলাকান্দির সাথে জুড়ে দেবার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু কাটিগড়াবাসী একবাক্যে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।
তিনি বলেন বিডিএফ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে বসে গুগল ম্যাপ দেখে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রতিবাদ জানাচ্ছে কারন এতে বরাকবাসী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি বলেন একটা মহলের ধারনা একধরনের সুপ্ত সাম্প্রদায়িকতার মনোভাব নিয়ে সম্পুর্ন রাজনৈতিক স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কল্পার্ণব বলেন গনতন্ত্রে জনগনই শেষ কথা তাই তাদের মতামত ও সুবিধা অসুবিধাকে তোয়াক্কা না করে এই ধরনের স্বৈরাচারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছে বিডিএফ।
তিনি মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন। বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।