করোনার ভয়াবহতার আশংকা করে আজ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে গুয়াহাটির গোপীনাথ নগরস্থিত বি বরুয়া কেন্সার প্রতিষ্ঠান।
সংবাদমাধ্যমে এই কথা জানিয়েছেন ইনস্টিটিউটের সঞ্চালক ডঃ অমল কটকী।
প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গতকাল রাতে কোভিড-১৯এ আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া দীপিকা বাসফর নামক ১৬ বছরের কিশোরিটির সংস্পর্শে এসেছিলেন বি বরুয়া প্রতিষ্ঠানের কয়েকজনের চিকিৎসক এবং নার্স।
সেজন্যে, ৩ দিনের জন্যে চিকিৎসালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তদুপরি, লখরার মৃত কিশোরি মেয়েটি লকডাউন শিথিল করার পর ঠাকুমা মালতি বাসফরের বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল।
সেখানেই মেয়েটি জ্বর, কাশে ভোগার পর সকলেই ভেবেছিল সাধারণ জ্বর হয়েছে। ফলে তাকে ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়েছিল।
পরে বমি হওয়ায় তাঁকে বি বরুয়া চিকিৎসালয়ে গত ৪ মে’ তারিখে ঠাকুমা মালতী চিকিৎসার জন্যে নিয়ে আসেন।
এদিকে, গতকাল ১৬ বছরের কিশোরিটি মারা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্দেহবশত গুয়াহাটি জিএমসিএইচ থেকে কোভিড-১৯ এর একটি দল এসে তার সোয়াব সেম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে। সঙ্গে সঙ্গে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ে।
বর্তমান দিপিকার ঠাকুমাকে প্রতিষ্ঠানের ভিতরেই কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। সমগ্র পরিস্থিতি বুঝে নিয়েছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
বি ব্রুয়া কেন্সার প্রতিষ্ঠান এবং জিএমসিএইচের এক এবং পাঁচ নম্বর ছাত্রাবাসকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে চানমারির অমিয়নগরকেও কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল ১৬ বছরের কিশোরীটির মৃত্যুর পর এ নিয়ে মোট দুজন মারা গেছে অসমে করোনা পজিটিভে।