অসমের ৩৩ বছর বয়স্ক একটি মা হাতি তামিলনাড়ুর শ্রীবিল্লিপুথুরের এক মন্দিরে অবৈধভাবে বন্দী অবস্থায় রয়েছে। এবং মর্মান্তিকভাবে হাতিটিকে ভিক্ষা করার জন্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘দ্য নিউ ইণ্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ এর তরফ থেকে জানা গেছে, জয়মালা ওরফে জিয়ামাল্লথা কোনও বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই শ্রীবিল্লিপুথুরের নাচিয়র মন্দিরের হেফাজতে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩৩ বছরের জয়মালাকে ২০০৮ সালে এক অস্থায়ী লিজে তামিলনাড়ুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তাকে আর কখনো ফেরত পাঠানো হয়নি।
প্রাণী অধিকার কর্মী অ্যান্টনি ক্লিমেন্ট রুবিন দায়ের করা একটি আরটিআই প্রশ্নের জবাবে তামিলনাড়ুর বন বিভাগ জানিয়েছে যে অসমের তিনসুকিয়া জেলার কাকোপাথারের গিরিন মুরান হচ্ছেন এই হাতির মালিক।
তামিলনাড়ু বন বিভাগের কাছে প্রাপ্ত নথিগুলিতে দেখা যায় যে জয়মালাকে ২০০৮ সালে মাত্র ছয় মাসের জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু গত ১১ বছর ধরে, নাচিয়র মন্দিরের পরিচালনা সমিতি জয়মালাকে মূলত ভিক্ষা ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করে আসছে।
বহু প্রচেষ্টার পরও মন্দির পরিচালনা কমিটির কোনও কর্মকর্তা জয়মালার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে প্রস্তুত ছিলেন না।
২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো জানিয়েছে যে ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে অসম রাজ্য থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া মোট ২৫৯ টি বন্দী হাতি আর ফেরত আসেনি।
চিফ ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন সঞ্জয় কুমার শ্রীবাস্তব বলেছেন, মালিকানা সনদ ব্যতিরেকে হাতি থাকা অবৈধ।
সাম্প্রতিক যাচাইয়ের সময়, তামিলনাড়ু বন বিভাগ সন্ধান করেছে যে রাজ্যে সাতটি হাতি রয়েছে যার মালিকানা শংসাপত্র অসম বন বিভাগ জারি করেছিল।
শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন যে তিনি অসমের মুখ্য বন্যজীব ওয়ার্ডেন রঞ্জনা গুপ্তকে চিঠি লিখেছেন যেন তাৎক্ষণিকভাবে সাতটি হাতি ফিরিয়ে নেন।
তবে, তামিলনাড়ু সরকারের হাতিদের ফিরিয়ে নেওয়ার অনুরোধের বিষয়ে রঞ্জনা গুপ্ত মন্তব্য করার জন্য উপলব্ধ ছিলেন না।
তিনি মোবাইলেও কোন কল গ্রহণ করেননি।
লেখকঃ অনির্বাণ রায়।
প্রকাশকঃ সাগরিকা দাস