শিলচরঃ আসু সহ অসমিয়া জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির CAA বিরোধী আন্দোলনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাঙালি হিন্দুরা যেভাবে গত কয়েক দশক ধরে আসামে হেনস্থা হচ্ছেন তাতে স্থিতাবস্থা বজায় রাখা। বাঙালি হিন্দুদের অনৈতিক ডি নোটিশ জারি বা ডিটেনশন করা হলে এইসব সংগঠন সম্পূর্ণ নীরব থাকে।
তাই এসব অবিলম্বে বন্ধ না হলে আসাম আবার দ্বিখণ্ডিত বা ত্রিখন্ডিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট এর মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় ।
এক প্রেস বার্তায় প্রদীপ বাবু বলেন যে আশির দশকের ‘বঙাল খেদা’ আন্দোলন বা হালের ‘CAA’ বিরোধী আন্দোলন দুটোর লক্ষ্যই বাঙালি হিন্দু, মুসলমান নির্বিশেষে। তিনি বলেন আমাদের দুর্ভাগ্য যে কেন্দ্রীয় সরকারও এইসব উগ্র জাতীয়তাবাদী সংগঠনকে তোয়াজ করে চলেছেন নিজেদের স্বার্থে।
নতুবা তিন বছর আগে সংসদের উভয় সভায় পাশ হবার পরও কেন আজ অবধি এই প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে না ? ছাপান্ন ইঞ্চি ছাতি কি এই ব্যাপারে চুপসে গেল ? তিনি আরো বলেন যে এই বিজেপি দল আদ্যন্ত বাঙালি বিরোধী।
নাহলে যেখানে খোদ প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দিলেন যে ক্ষমতায় আসলে রাজ্যের সমস্ত ডিটেনশন ক্যাম্প ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হবে সেখানে উল্টে তাদের সরকার দ্বারা অসমের গোয়ালপাড়ায় নতুন ডিটেনশন ক্যাম্প তৈরি হয় কি করে ?
বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক আরো বলেন যে গত ছ’ বছরের শাসনকালে এই দল অসমের বাঙালি হিন্দুদের জন্য কিছুই করেনি।
তিনি বলেন যে মন্ত্রী পিযুষ হাজারিকা এই আন্দোলন প্রত্যাহার করার যে আহ্বান জানিয়েছেন তাঁকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু তার সাথে এটাও মনে করিয়ে দেওয়া জরুরী যে যদি এই আন্দোলন প্রত্যাহৃত না হয় তবে আসাম আবার দ্বিখণ্ডিত বা ত্রিখন্ডিত হবার পথ প্রশস্ত হবে।
কারণ অসমের বরাকের বাঙালি হিন্দুরা রাহুমুক্তি চাইছেন। প্রদীপ বাবু বলেন যে বিটিসি চুক্তি করে বড়োদের সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আবার ‘ডিভাইড আসাম ফিফটি ফিফটি ‘ ইস্যুতে আন্দোলন শুরু হয়েছে। তিনি বলেন আমাদের সাথে ইতিমধ্যে এই আন্দোলনের সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ সামসুং বসুমাতারি ও বড়ো ভলান্টিয়ার ফোর্সের সম্পাদক ফুকন বড়োর সাথে কথা হয়েছে।
তাঁরা শিলচর আসছেন। শুধু তাই নয় কার্বি নেতৃত্বের সাথেও কথাবার্তা চলছে। তাই এরকম চলতে থাকলে ভবিষ্যতে আমরা একযোগে পৃথক বরাকল্যান্ড, বড়োল্যান্ড এবং কার্বিল্যান্ডের দাবিতে গনতান্ত্রিক আন্দোলন গড়ে তুলব। প্রদীপবাবু বলেন আমরা তাই উগ্র জাতীয়তাবাদী সংগঠন গুলিকে বলছি যে যদি তাঁরা না চান যে আসাম আবার দ্বিখণ্ডিত বা ত্রিখন্ডিত হোক তবে অবিলম্বে এসব বন্ধ করুন।
বিডিএফ মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে এক প্রেস বার্তায় এই খবর জানিয়েছেন আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে ও জয়দীপ ভট্টাচার্য।