সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সহিংস হয়ে উঠেছে সারা ভারতে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অসম-ত্রিপুরা অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল।
এমন অবস্থায় বহু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসম। অত্যন্ত খারাপ প্রভাব পড়েছে শোণিতপুর জেলার পর্যটন উদ্যোগে।
অবিভক্ত এই জেলা বছরের প্রায় সবকটা দিনই দেশি-বিদেশি পর্যটকে জমজমাট থাকে। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু এই জেলা। কারণ এখানেই রয়েছে কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যান, নামেরি রাষ্ট্রীয় উদ্যান, সোনাই- রূপাই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের পাশাপাশি ঐতিহাসিক তেজপুর শহর।
কিন্তু সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ার ফলে উক্ত পর্যটন স্থানগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা শূন্য বললেই চলে। অসমের নামে পর্যটকরা জুজু দেখছে।
এ বিষয়ে জেলা পর্যটন আধিকারিক বাসব বরা নর্থ ইস্ট নাও-কে জানিয়েছেন, তেজপুর পর্যটকদের জন্যে সবসময়ই আকর্ষণীয় স্থান। কিন্তু বিগত ৩ মাসে মাত্র ১৫৪ জন পর্যটক এই স্থানে এসেছে। তাঁদের মধ্যে ৫ জন বিদেশি। এর মূল কারণ সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সহিংস প্রতিবাদ।”
কাজিরাঙা রাষ্ট্রীয় উদ্যানের সঞ্চালক কৰ্মশ্ৰী পি শিবকুমার জানাচ্ছেন, এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হচ্ছে। আমরা আশাবাদী পর্যটকের উপস্থিতি বাড়বে।”
২৯ ডিসেম্বর অসমের মন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের বর্তমান ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, “রাষ্ট্রীয় উদ্যান কাজিরাঙ্গায় পর্যটকের আনাগোনা বন্ধ হয়ে গেছে, হোটেলে মানুষ নেই, জিপ সাফারি বন্ধ হয়ে পড়েছে। আজ গুয়াহাটিতে বিগত ১০ তারিখ থেকে পর্যটক নেই। ব্যবসা নিম্নগামী হচ্ছে। মানুষ কষ্ট করে বেঁচে আছে। এর কারণ, প্রতিবাদ সহিংসরূপ ধারণ করায় মানুষ আসছে না অসমে। এগুলো কখনোই একটি রাজ্যের ইতিবাচক দিক নয়।”
“আমরা সারা বিশ্বে আজ কি বার্তা প্রেরণ করলাম যে অসম একটি অশান্ত রাজ্য? জাপানের প্রধানমন্ত্রী অসমে আসতে পারেননি!”