অসমে যোরহাটের চা বাগানে ৭৩ বছরের জ্যেষ্ঠ চিকিৎসক ডঃ দেবেন দত্তকে হত্যা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। প্রশাসনকে দোষীর বিরুদ্ধে শীঘ্রই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
টীয়ক চাহ বাগিচাৰ চিকিৎসক ডাঃ দেৱেন দত্তক বৰ্বৰ ভাৱে প্ৰহাৰ কৰাৰ ফলত মৃত্যু হোৱা ঘটনা অতি নিন্দনীয় আৰু চৰম দুৰ্ভাগ্যজনক।আইন হাতত তুলি লোৱা কাৰ্য্যক কোনো পধ্যেই সহ্য কৰা নহয়।দোষীৰ বিৰুদ্ধে ক্ষীপ্ৰ পদক্ষেপ গ্ৰহণ কৰিবলৈ প্ৰশাসনক নিৰ্দেশ দিয়া হৈছে।
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) September 1, 2019
শনিবার টিয়ক চা বাগানের শ্রমিকদের একাংশ মিলে ডঃ দেবেন দত্তকে কর্তব্যে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ জানিয়ে তথা ডঃ দেবেনের জন্যে চা-বাগানের একজন অস্থায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এই দাবি জানিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালায় ডাক্তারের ওপর!
ঘটনার স্বরূপ জানা গেছে সূত্রে, শনিবার দুপুর ১২ টা নাগাদ টিয়ক চা-বাগানের ১২ নং লাইনে বসবাসরত অস্থায়ী কর্মী সুক্রা মাঝি(৩৩) কে বাগানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সূত্র মতে, সে সময় হাসপাতালে ছিলেন না ডঃ দেবেন এবং ফার্মাসিস্ট। কর্তব্যরত নার্স একটি সেলাইন দিয়েছেন যদিও শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে।
এ অবস্থায় সাড়ে ৩ টায় হাসপাতালে ডঃ দেবেন দত্ত উপস্থিত হওয়া মাত্রই শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁকে পাশবিকভাবে মেরে জখম করে একটি নির্জন কোঠায় আবদ্ধ করে রাখে।
উল্লেখ্য, ডঃ দেবেন দত্ত বহুদিন পূর্বে চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন যদিও ফের চাকুরির মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্যে জনসেবামূলক কাজ করে আসছিলেন।
এমন গুরুতর পরিস্থিতিতে জীবন কুর্মি চিকিৎসককে উদ্ধার করতে গিয়ে নিজেও আহত হয়েছেন।
বিকেল ৫টার সময় ঘটনাস্থলে সিআরপিএফ দল এসে ডঃ দেবেনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে যোরহাট চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
যোরহাট জেলার ডিসি রশ্নি কোরাটি এই ঘটনার দণ্ডাধীশ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।