গুয়াহাটি: Assam সরকার Tamil Naduতে বন কর্মকর্তাদের একটি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলটি Tamil Naduতে অসমের হাতি ‘জয়মালা’ র শারীরিক অবস্থা কেমন আছে পরীক্ষা করবে। হাতিটি দক্ষিণ ভারতের রাজ্য তামিলনাড়ুতে একটি মন্দিরে নির্যাতনের শিকার হয়েছে, এই অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, জয়মালার ওপর নির্যাতনের অভিযোগ প্ৰকাশ্যে আসার পর অসমের বন বিভাগ (Assam Forest Department) হাতিটিকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। Jaymala সমেত আরও ৯টি হাতিকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলে জানা গেছে।
গত ২৬শে আগস্ট প্ৰকৃতিপ্ৰ্ৰেমী সংগঠন পিপল ফর দ্য এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিম্যালস (পেটা) ইন্ডিয়া (People for the Ethical Treatment of Animals (PETA) India ) ‘জয়মালা’র অপব্যবহার হচ্ছে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। একটি ভিডিওতে, একটি মাহুতকে প্লায়ার সমেত অস্ত্র ব্যবহার করে জয়মালাকে মারতে দেখা গেছে।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেছেন, বন বিভাগের দল যদি কোনও নির্যাতনের প্রমাণ পায়, রাজ্য সরকার হাতিটিকে ফিরিয়ে আনার জন্য সম্ভাব্য সমস্ত ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়া টুডে এনই মুখ্যমন্ত্রী শর্মার বক্তব্য কোট আনকোট করে বলেছে- “এটা শুধু একটি হাতির কথা নয়। যদি হাতিগুলি নিষ্ঠুরতার শিকার হয়, তাহলে আমাদের সরকার রাজ্যের বন্দী হাতিদের উদ্ধার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই মুহুর্তে আমরা নিষ্ঠুরতার বিষয়টি যাচাই করছি,”।
এদিকে আরও জানা গিয়েছে, হাতিটি ফেরত না দেওয়ায় তামিলনাড়ু সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে অসম বন বিভাগ।
অসমের প্রধান বন সংরক্ষক এবং প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন এম কে যাদব জানিয়েছেন- প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে হাতি জয়মালাকে, তামিলনাড়ু সরকারের অসহযোগিতার কারণে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা যায়নি।
যাদব আরও বলেন, এক বছরেরও বেশি সময় যোগাযোগের পর, তামিলনাড়ুর প্রধান বন্যপ্রাণী ওয়ার্ডেন এই বছরের এপ্রিলে জয়মালাকে তুলে নেওয়ার অনুমতি দিয়ে একটি আদেশ জারি করেছিলেন।
যাদব সংবাদ সংস্থা নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন- “তবে, প্রযুক্তিগত সমস্যা হল তামিলনাড়ু বন বিভাগকে প্রাণীটি দখল করতে হবে। তবেই আমরা তা আনতে পারব। অন্যথায়, এটি ডাকাতির পর্যায়ে পরিগণিত হবে”।