গুয়াহাটি: Assamএ ক্ৰমবর্ধিত মানব পাচার (Human Trafficking) ঠেকাতে রাজ্য সরকার একটি নতুন আইন প্রণয়নের কথা ভাবছে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী Himanta Biswa Sarma বলেছেন যে গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করে তাদের সুরক্ষার জন্য নতুন আইন চালু করা হবে। তাঁর দাবি, এতে ওইসব মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং মানব পাচারের (Human Trafficking) ঘটনা কমে আসবে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন- একবার আইনটি বিধানসভায় পাস হয়ে গেলে রাজ্যের যে পরিবারগুলি গৃহকর্মীকে নিয়োগ করবে তাদের পুলিশি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে এবং একাধিক জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্ৰী শর্মা বলেন- “মানুষের মধ্যে একটি মানসিকতা রয়েছে যে মানব পাচার তখনই ঘটে যখন কোনও শিশু বা কিশোরকে অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু যখন একই ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে রাজ্যের সীমানার মধ্যে একটি ভিন্ন জেলা বা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়, তখন আমরা তা উপেক্ষা করি’’।
তিনি আরও বলেন- “প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী গৃহকর্মীর নিয়োগকর্তারা একজন কিশোরের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য দায়ী থাকবেন। লোকেদের বাধ্যতামূলকভাবে স্থানীয় পুলিশের কাছে তাদের গৃহস্থালী সাহায্যের শংসাপত্র নিবন্ধন করতে হবে,”।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (National Crime Records Bureau সংক্ষেপে NCRB) রিপোর্ট অনুসারে, অসমে মানব পাচারের ১৪৯ টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে যার মধ্যে ৩৭৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
NCRB ডাটা গত কয়েক বছরে অসমে মানব পাচারের ক্ষেত্রে ক্রমাগত বৃদ্ধি দেখিয়েছে। ২০২০ সালে, প্রায় ১০৩ টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছিল যার মধ্যে ১৫১ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
২০২১ সালে, Assamএ রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানব পাচার মামলা নথিভুক্ত হয়েছে।