অসমে বাড়ছে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তের সংখ্যা। বুধবার গুয়াহাটির ফাঁসিবাজারেরে পাশাপাশি আরো ৪টি অঞ্চলে ১৫ জন লোকের দেহে মারাত্মক করোনা ভাইরাস ধরা পড়ার পর অঞ্চলগুলোকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সংবাদ মাধ্যমে এই কথা ঘোষণা করেছেন।
ফাঁসিবাজারের পাশাপাশি পানবাজার রেলওয়ে কলোনি, ফাটাশিল আমবাড়ি, কুমারপাড়া এবং শান্তিপুর আশ্রম রোডকে কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, “একজন করোনা রোগি পানবাজার রেলওয়ে কলোনির কাছেই থাকেন, সে অঞ্চলটি কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। কুমারপাড়াতেও আরো একজন রোগিকে পাওয়া গেছে, সে অঞ্চলকেও কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে।”
“শান্তিপুরের আশ্রম রোডে আকজন ড্রাইভার কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে ফাটাশিল আমবাড়িতেও একজনকে পাওয়া গেছে।”
বাকিরা ফাঁসিবাজারের আলু গুদাম এবং রাজকমল হোটেলের সামনের বলে ড০ শর্মা জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গুয়াহাটিবাসীকে বারংবার সাবধান হওয়ার জন্যে আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “একজন নাপিতের শরীরে এই ভাইরাস ধরা পড়েছে। তিনি অনেকের চুল কেটেছিলেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে। রাজকম হোটেলের নিচেই তিনি চুল কাটেন। তাঁর নাম বিন্দেশ্বরী ঠাকুর।” তিনি আরো বলেন, সেলুন বন্ধ ছিল কিন্তু আইন অমান্য করে নাপিত বিন্দেশ্বর চুল কেটেছিলেন।”
উল্লেখ্য যে, ১৩ মে’ কোভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ১৫ জনঃ সুবোধ কুমার, সুনীল রায়, মুকেশ সিং, গণি কেয়াট, বিশ্বনাথ সাহা, বিদ্বেশ্বরী ঠাকুর, প্রবীণ কুমার রাও, লাখরো নিসাব, শংকর সাহা, কৃষ্ণ কুমার গুপ্তা, সিপুজন নিসাব, অজয় কুমার, সঞ্জীত কুমার এবং প্রভাত আনন্দ, সুমিত কুমার।
আক্রান্ত রোগিরা বর্তমান গুয়াহাটি মহেন্দ্র মোহন চৌধুরি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য যে, অসমের অসচেতন একাংশ জনগণ যখন ভাবছিলেন, বিউটি পার্লার, সেলুন পুরোদমে খুলে ফেলবেন, এছাড়া যে সমস্ত ব্যবসায়ীরা লুকিয়ে এই সমস্ত অনৈতিক কাজ করছেন, তাঁরা তো নিজের জীবন নিয়ে খেলছেনই, জনগণকেও মৃত্যুমুখে ঠেলে দিচ্ছেন।