গুয়াহাটিঃ অসমের রাজনীতিতে বর্তমনে সকলের মুখে একই নাম চর্চার শীর্ষে, সেটা হচ্ছে Victor Das। Assamএ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিযুক্তিতে দালালরাজ চলছে। চাকরির বিনিময়ে ৩ থেকে ৮ লক্ষ টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন Victor Das নামের এক যুবক। তাঁকে শুক্রবার দিনভর জেরা করে Assam Police। তারপর রাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ছবি, সৌঃ ইন্টারনেট
এই নিয়ে রাজ্যে Congress থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিরোধী দলগুলির চর্চার মাঝেই প্ৰতিক্ৰিয়া প্ৰকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন- ‘‘নিয়োগ দুর্নীতি জেমস বন্ডের সিনেমা নয়। Victor Das কোনওধরনের উপযুক্ত প্ৰমাণ দেখাতে পারে নি। ফলাফলেই প্ৰকাশ পাবে, মুকেশ আম্বানির ছেলে চাকরি পেয়েছেন, না গ্ৰামের পকোরা বিক্ৰি করা দরিদ্ৰ ব্যক্তির ছেলে-মেয়ে। ফলাফল প্ৰকাশ পেলেই সব জল জল পট পট হয়ে যাবে। ’’
Assam Cm Himanta Biswa Sarma সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ করে বলেন- ‘‘এইসব করে ৮ লক্ষ ছেলে মেয়ের মাথা গরম করবেন না’’। তিনি বলেন প্ৰাক্তন বিধায়ক টাকা চেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে, অথচ ভিক্টর দাস তাঁর নাম উল্লেখ করতে পারেননি। শুধু গাড়ির নম্বর দিলে তো হবে না। এটা কি জেমস বন্ডের সিনেমা, যে গাড়ির নম্বর দিলেই সব বেরিয়ে পড়বে।’’ মুখ্যমন্ত্ৰী শর্মা এটিকে ষড়যন্ত্ৰ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এই সব কথা চর্চা করে অযথা লক্ষ লক্ষ বেকার যুবকদের মানসিকভাবে হেনস্থা না করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল DGP জিপি সিংহের দাবি, Victor প্রচারে আসার জন্যই এমন ভিত্তিহীন দাবি করেছিলেন। তাঁর কাছে বক্তব্যের স্বপক্ষে তেমন কোনও প্রমাণ ছিল না। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার পার্থসারথি মহন্ত বলেন, ভিক্টর কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। প্রাক্তন বিধায়ক জড়িত বলে Twitterএ লিখলেও কারও নামই নিতে পারেননি। ইচ্ছাকৃত ভাবে, বিনা প্রমাণে অপপ্রচার চালানোর দায়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই বিষয়ে বিরোধীদের দাবি, অভিযোগকারীকে গ্রেফতার করে গোটা বিতর্ককে ধামাচাপা দিতে চাইছে অসমের BJP সরকার। Guwahatiর দু’টি কোচিং সেন্টারের মালিক ভিক্টরের বাবা কুমুদচন্দ্র দাস ২০২০ সালে রেল বিভাগে দুর্নীতির তদন্ত ফাঁস করেছিলেন। তার কিছু দিন পরেই রহস্যজনক ভাবে তাঁর মৃতদেহ রেল লাইনের পাশে উদ্ধার হয়!
ভিক্টরের দাবি, চাকরির বিনিময়ে টাকা চাওয়া সংক্রান্ত কল রেকর্ডিং এবং আরও বেশ কিছু প্রমাণ তাঁর কাছে রয়েছে। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলেও তিনি দমছেন না। রাইজ়র দলের বিধায়ক Akhil Gogoi বলেন, ‘‘বর্তমানে অসমে গণতন্ত্র বাঁচানো দূরের কথা জীবন বাঁচানোই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে ব্যক্তি অভিযোগ করলেন, পুলিশ তাঁকেই গ্রেফতার করল! অথচ দোষীদের ধরার কোন চেষ্টাই করল না।’’