
বরাকের বিভিন্ন স্থানে আকাশপথে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন অসমের মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিজেপি সাংসদ রাজদ্বীপ রায় এবং জেলা শাসক। বন্যা দুর্গতদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। উদ্ধার এবং ত্ৰাণ সাহায্য আরও দ্ৰুত গতিতে যাতে করা হয় তার জন্য জেলা প্ৰশাসনের সঙ্গে বৈঠকে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার হেলিকপ্টারে করে জলের বোতল সমতে সমস্ত প্যাকেট জাত প্ৰয়োজনীয় জিনিস পত্ৰ বন্যা কবলিত শিলচর শহরের বিভিন্ন বিল্ডিংগুলিতে ফেলা হয়েছে। এক লক্ষ জলের বোতল শিলচর শহরে এয়ার ড্ৰপ করা হয়েছে। এই কয়দিন নিয়মিত ত্ৰান সাহায্য দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। কোনও ধরনের নীতি নিয়মের মধ্যে না ঢুকে যতটা সম্ভব দ্ৰুত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে জল নেমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্ৰসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অসমের ব্ৰহ্মপুত্ৰ নদের সঙ্গে সঙ্গে প্ৰতিনিয়ত বরাক নদীর জলস্তর ক্ৰমশ বাড়ছে। বরাকে ২.৩০ লক্ষ মানুষ বন্যার কবলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিভিন্ন জায়গায় জলমগ্ন হওয়ায় উদ্ধার অভিযান তথা ত্ৰাণ সামগ্ৰী দিতেও সমস্যা হয়েছে। এসডিআরএফ-এর দল ক্ৰমশ উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। জল দুর্ভোগ কমাতে শহরের ট্ৰান্সফর্মারগুলি রিচার্জ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে, শিলচরে বন্যার বিভীষিকার মধ্যেই ডাকাতের দলের তাণ্ডব শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মানুষ ভয় আর আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছেন। জানা গেছে, শিলচরে পাবলিক স্কুল রোড, শ্যামা নন্দ লেন দুই, বিলপার এলাকায় দিনে রাতে ডাকাতি হচ্ছে। বাধা দেওয়ার কেউ নেই। জানা গেছে, বন্যা কবলিত এলাকাগুলিকে টাৰ্গেট করছে ডাকাতের দল।