নয়াদিল্লি: বাপু, বাবা, ইমাম এদের লালসার শিকার হয়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে এক একজনের জীবন। এবার দোষী সাব্যস্ত Asaram Bapu।
এক শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু Asaram bapu ৷ ২০১৩ সালে আশারামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন ওই মহিলা ৷
সোমবার ভারতের গুজরাতের (gujrat) গান্ধিনগরের একটি আদালত আশারাম বাপুকে দোষী সাব্যস্ত করে ৷ তবে এদিন সাজা ঘোষণা করেননি ওই সেশন কোর্টের বিচারক ডিকে সোনি ৷ মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা হওয়ার কথা।
যদিও এই মামলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন আরও ৬ অভিযুক্ত ৷ এমনি যাঁদের মধ্যে রয়েছেন খোদ আশারামের স্ত্রী ৷ প্রমাণের অভাবে তাঁদের এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বলে বিচারক জানিয়েছেন ৷
জানা গিয়েছে, ২০১৩ সালে আমেদাবাদের চন্দখেড়া পুলিশ স্টেশনে আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন অত্যাচারিত ঐ মহিলা ৷ তিনি আশারামের শিষ্যা ছিলেন।
উক্ত মহিলাকে বহুবার ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে যখন তিনি আশারামের আশ্রমে ছিলেন তখন তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। আশারাম বাপু ধ্বংস করে ঐ মহিলার জীবন।
ভারতীয় দণ্ডবিধির 376 (2), 377 ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন আশারাম বাপুর বাপু ৷
বর্তমানে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগ করছে আসারাম বাপু।
উল্লেখযোগ্য যে, ১০ বছর আগে সুরাতের বাসিন্দা মহিলা অভিযোগ করেন, মোতেরায় নিজের আশ্রমে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু। আর এই ধর্ষণের ক্ষেত্রে স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে সাহায্য করেছে স্বয়ং তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী, চার শিষ্যা তথা অনুসারী ধ্রুববেন, নির্মলা, জাস্সি ও মীরা। তদন্তে নেমে ৭৭ বছর বয়সী ধর্মগুরুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আসারামের বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০ (৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
আর শুধুমাত্র গুজরাতেই নয়, ২০১৩ সালে রাজস্থানের যোধপুরেও ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল এই গুরু আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে। ওই মামলায় ২০১৩ সালের অগস্ট মাসে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর থেকে গ্রেফতার করা হয় ধর্মগুরুকে। ২০১৮ সালে যোধপুর আদালত ওই ধর্ষণ মামলা আসারামকে দোষী সাব্যস্ত করে জেলের সাজা শোনায়। এই বাপু, বাবাদের কাণ্ড এই দেশে বলে শেষ হবে না।