ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে সুপার সাইক্লোন আমফান ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে। উত্তর-পূর্বের অসমের দিকে তাকালে রাজ্যে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢাকা। বইছে বাতাস।
১৭০ থেকে ১৯০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টার বেগে বয়ে যাওয়া এই আমফান ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বহু স্থানে ১২ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।
অসমে রাত থেকেই প্রচণ্ড প্রভাব ফেলেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান। উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়ংকর প্রভাব ফেলতে পারে আমফান। বন বিভাগ, টেলিকম বিভাগকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে। মহানগর গুয়াহাটি প্রশাসন জারি করেছে এলার্ট।
পশ্চিমবঙ্গে এবং উড়িষ্যার হাজার ঘর, সুউচ্চ অট্টালিকা, বিদ্যুৎ পরিবাহি খুঁটা ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি প্রকাণ্ড গাছ উপড়ে ফেলেছে আমফান।

দক্ষিণবঙ্গ পুরো তছনছ করে দিয়েছে কয়েক ঘন্টার ঘূর্ণিঝড়। গতিতে আয়লাকেও ছাপিয়ে গেছে আমফান। করোনাতংকের ওপর আমফান বাংলায় বিধ্বংসী তাণ্ডব চালিয়ে প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হওয়ার পাশাপাশি উড়িষ্যায় ১ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে প্রচণ্ড ঘূর্ণিঝড়ের সময় খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে বাধ্য হয়েছে।
উত্তর -২৪ পরগণায় ৫ হাজার ৫০০ রও বেশি ঘর সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। জেলায় প্রকাণ্ড একটি গাছ পড়ে ১৩ বছরের কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।
আলিপুর আবওহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ২১ তারিখ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় তার সাইক্লোন স্ট্যাটাস ধরে রাখবে।
অত্যন্ত গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হবে বাংলাদেশে। ফলে বৃহস্পতিবার থেকে বৃষ্টি বাড়বে উত্তরবঙ্গে।
রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বাহিনীর ৪১টি দল পশ্চিমবঙ্গে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে অসমে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা রোগির সংখ্যা। একদিকে আমফানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্যে রাজ্য সরকারের প্রস্তুতি অন্যদিকে করোনা ভাইরাস প্রবল চাপের সৃষ্টি করেছে অসম তথা বিভিন্ন রাজ্যের স্বাস্থ্যবিভাগের ওপর!
২০ মে’ গভীর রাত পর্যন্ত গুয়াহাটি এমএমসিএইচ হাসপাতালে ব্যস্থ থাকেন স্বাস্থমন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। আমফানের প্রভাব চলাকালিন অবস্থাতেই মহানগরের সরুসজাই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে ১৪ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর তাঁদের স্থানান্তকরণ প্রক্রিয়া তদারক করেন ড০ শর্মা।