বৃহত্তর কাটিগড়ার প্রায় পনেরো’শ দুস্থ অসহায় পরিবারের অন্তত দুদিনের খাদ্যসামগ্রীর ব্যবস্থা করেন কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন। মঙ্গলবার প্রথম দফায় মোট সাত‘শ পরিবারের মধ্যে চাল বাদ দিয়ে তেল,ডাল,নুন, মশলাপাতি, আলু পেঁয়াজ,সুয়াবিন ইত্যাদি অত্যাবশ্যক সামগ্রী বিতরণ করেন।
বিশেষ করে কাটিগড়ার চাবাগান অঞ্চল সহ হাওর অঞ্চলে আজ সকাল থেকেই এই সামগ্রীর প্যাকেট বিতরণ করা হয়। বুধবার ফের অবশিষ্টদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হবে। একইসঙ্গে এদিন মাস্ক বিতরন করেন বিধায়ক জৈন। দেশ তথা রাজ্যের এই কঠিন সময়ে সবচেয়ে বেশি বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন দিনমজুর খেটেখাওয়া মানুষ । একদিকে করোনার মতো ভয়ঙ্কর ভাইরাসের আতঙ্ক অন্যদিকে পেঠের খোরাক নিয়ে কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। দৈনন্দিন করোনার আতঙ্ক বাড়ছে,বাড়ছে মুল্যবৃদ্ধির বহর। এছাড়াও খাদ্যসামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুত না থাকার অজুহাতে ক্রমশ মুল্যবৃদ্ধি ঘটছে।
এই পরিস্থিতি কাটিগড়ার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে সাকুল্যে পনেরো’শ দুস্থ অসহায় পরিবারের অন্তত দুদিনের খাদ্যসামগ্রীর দায়িত্ব নিলেন বিধায়ক জৈন। তার এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানান দুস্ত অসহায় জনগন।এদিকে করিমগঞ্জ জেলার হাসানপুর সৈদপুর গ্রামে করোনা সংক্রমণের প্রথম ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই লাগোয়া কাটিগড়া সমষ্টির সামগ্রিক পরিস্থিতি রাতারাতি পাল্টে গেছে।
আশংকা আতঙ্ক ক্রমশ জাঁকিয়ে বসেছে। দোকানপাট বলতে মুদিখানা থেকে ঔষধালয় সর্বত্র শুনশান। বাড়ছে পুলিশী টহল। যদিও গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল গোছের একাংশরা নিয়ম করেই হাঁটাচলা করে বেড়াচ্ছেন। এক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চলগুলোতে লক ডাউনের আঁচড় পড়েনি।
যদিও কাটিগড়া পুলিশ প্রশাসন তৎপর থাকলেও যথেষ্ট নয়,এক্ষেত্রে কাছাড়া পুলিশ প্রশাসনকে আরও তৎপর হয়ে উঠতে হবে বলে মত ব্যক্ত করেন সচেতন নাগরিকমণ্ডলী।