বুধবার, ২২ জানুয়ারি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সমস্ত কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে।
আগামিকাল দেশের সর্বোচ্চ আদালত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন, ২০১৯-এর বৈধতার ওপর প্রশ্ন উত্থাপন করে আদালতে দাখিল করা আবেদনের শুনানি গ্রহণ করবেন।
সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রয়েছে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়, ডিব্ৰুগড় বিশ্ববিদ্যালয়, নৰ্থ ইষ্টাৰ্ণ হিল ইউনিভার্সিটি, তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়, অসম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নাগাল্যাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়, রাজিব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেরিস্ট।
সুপ্রিম কোর্ট আসু, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশসহ আরো বিভিন্ন পক্ষের তরফ থেকে দাখিল করা সিএএ বিরোধি আবেদনের শুনানির দিন ২২ জানুয়ারি ধার্য করেছিলেন।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র, আরজেডি নেতা মনোজ ঝা, এআইএম আইএম নেতা আসাউদ্দিন ওবেসিও সুপ্রিম কোর্টে নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করে আবেদন দাখিল করেছিলেন।
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলো নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। বিশেষৎ অসম এবং ত্রিপুরার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। প্রতিবাদ কোন গণতান্ত্রিক প্রতিবাদ নয়। রীতিমতো তা দাঙ্গার রূপ নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু সাধারণ মানুষ। অর্থনীতির হার তলানিতে ঠেকেছে। দিন এনে দিন খাওয়া জনগণের অবস্থা সবচাইতে নাজেহাল হয়েছিল। বন্ধ হয়েছিল পড়ুয়াদের পড়াশুনা। এ অবস্থায় ফের আগামিকালের বন্ধ ক্ষাণিকটা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে রাজ্যে।