নয়াদিল্লি: ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA)র দাবি, রাইজর দল প্রধান অখিল গগৈ (Akhil Gogoi) অসম মাওবাদী কার্যকলাপের মূল পাণ্ডা। এনআইএ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দাবি করে বলে, শিবসাগরের বিধায়ক অখিল গগৈকে (Akhil Gogoi) জামিন দেওয়া যাবে না কারণ তিনি রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপের মূল মাথা। NIA-র মামলা সম্পর্কে গত সোমবার শীর্ষ আদালতে শুনানি হয়। ওইদিন মামলার শুনানি সম্পন্ন হয়নি, তাই ৩ মার্চ ফের শুনানির দিন ঘোষণা করে আদালত। অখিল গগৈর (Akhil Gogoi) বিরুদ্ধে থাকা NIA-র মামলা সম্পর্কে ফের মামলা চালানোর জন্য গৌহাটি হাইকোর্ট (Gauhati High Court) অনুমতি দিয়েছিল।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শিবসাগরের বিধায়ক অখিল গগৈ(Akhil Gogoi) অসম নাগরিকত্ব বিরোধী (সংশোধনী) আইন (সিএএ) আন্দোলনের সময় BJP সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন।
বিচারপতি ভি রামাসুব্রমানিয়ান এবং পঙ্কজ মিথালের একটি বেঞ্চ অখিল গগৈ(Akhil Gogoi)কে সুরক্ষা দিয়ে বলেন ৩ মার্চ পর্যন্ত গগৈকে গ্ৰেফতার করা যাবে না। শুক্ৰবার এই বিষয়ে আদালতে শুনানি হবে।
আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, NIA-র পক্ষে আদালতে হাজির হয়ে, সংস্থার দায়ের করা চার্জশিট উল্লেখ করে বলেন- অখিল গগৈ (Akhil Gogoi) অসমে মাওবাদী কার্যকলাপের মূল মাথা।
তুষার মেহেতা আরও বলেন-
অখিল গগৈ (Akhil Gogoi) সিপিআই (মাওবাদী) এর সঙ্গে যুক্ত। তিনি মাওবাদী শিবিরে প্রশিক্ষণের জন্য ক্যাডারদের পাঠিয়েছিলেন এবং অসমে ব্যাপক অবরোধের ষড়যন্ত্র ও আয়োজন করার মূলে ছিলেন তিনি। সরকারী জিনিসপত্ৰের ক্ষতি এবং জনসাধারণের সম্পত্তির ক্ষতি করার জন্য আম জনতাকে উস্কে দিয়েছিলেন। বিধায়কের বিরুদ্ধে ৬৪ টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
বরিষ্ঠ আইনজীবী হুজেফা আহমাদি(Senior advocate Huzefa Ahmadi), গগৈয়ের পক্ষে যুক্তি দাঁড় করান। তিনি বলেন-
“গগৈ একজন রাজনৈতিক নেতা এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি। তিনি শুধুমাত্র একটি বিশেষ রাজনৈতিক ব্যবস্থার বিরোধিতা করছেন, এই কারণেই তারা তাঁকে জেলে পাঠাতে চায়।
বেঞ্চ জানিয়েছে, শুক্রবার আদালতে এই বিষয়ে শুনানি হবে। এর আগে হাইকোর্ট NIA-কে CAA-বিরোধী বিক্ষোভ এবং তাদের সন্দেহভাজন মাওবাদী সংযোগের অভিযোগে গগৈ এবং তাঁর তিন সহযোগীর বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে অভিযোগ গঠনের অনুমতি দিয়েছিল।
এনআইএ চারজনকে ক্লিন চিট দিয়েছিল। আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান তদন্ত সংস্থার (NIA) দায়ের করা একটি আবেদনের ভিত্তিতে হাইকোর্টের নির্দেশ এসেছিল।
বিচারপতি সুমন শ্যাম এবং মালাশ্রী নন্দীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি পুনরায় খোলার পরে মামলাটি এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এসম্পর্কে অখিল গগৈয়ের মন্তব্য- তাঁর প্ৰতিবাদী কন্ঠ রোধ করতে সরকার তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।