আগামি ৩১ আগস্ট প্রকাশ পাবে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা। কিন্তু রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জির রাজ্যিক সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলার উদাসীনতার জন্য অসম এবং অসমিয়ার জন্য ‘সর্বনাশ’ দলিল রূপে পরিণত হবে, এমনই মন্তব্য করলেন অসম বাঙালি ছাত্র যুব ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি তথা মুখ্য উপদেষ্টা সুকুমার বিশ্বাস।
তিনি আরো বলেন, অসম চুক্তি ভিত্তিবর্ষ ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ মেনে আসু এবং গণসংগ্রাম পরিষদ যে ভাবে বর্তমান জনসাধারণের সমালোচনার পাত্র হয়ে উঠেছে, ঠিক সেই ভাবে এনআরসি প্রকাশ পাওয়ার পরও আসু এবং সাধারণ জনতার ঘৃণার পাত্র হবে। কারণ এই এনআরসি কোনভাবেই শুদ্ধ এবং বিদেশিমুক্ত এনআরসি হবে না।
এই এনআরসিতে কমপক্ষে পনেরো থেকে কুড়ি লক্ষ প্রকৃত ভারতীয় হিন্দু মুসলমানের নাম বাদ পড়বে। তার বিপরীতে সমসংখ্যক বাংলাদেশির নাম সন্নিবিষ্ট হবে। যার ফলে এনআরসি বঞ্চিত প্রকৃত ভারতীয়রা রাজ্যে উত্তাল পরিবেশের সৃষ্টি করতে বাধ্য হবে। আইন-শৃংখলা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা প্রকট হবে। তখন হয়তো প্রতীক হাজেলা পালিয়ে যাবে ভুক্তভোগী হবে অসমের জনতা।
তার জন্য সময় থাকতে রাজ্য সরকারে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগে এনআরসির খসড়া প্রকাশে স্থগিতাদেশের ব্যবস্থা করার জন্য দাবি জানান সুকুমার বিশ্বাস।