কলকাতাঃ দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, তারপরই কালীপুজো। দুর্গাপুজোর পরই কালীপুজোর প্ৰস্তুতি শুরু হয়ে যায়। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজো (Kali Pujo) বা শ্যামা পুজো (Shyama Pujo) হয়ে থাকে। দুর্গা, লক্ষ্মী, কালী মূলত সবই শক্তির সাধনা। কালী পুজোর মূলক মাস খানেক আগে থেকে পুজোতে যাতে কোনও ত্ৰুটি না থাকে তার জন্য প্ৰস্তুতি শুরু হয়ে যায়।
ঘরে এবং মন্দিরে নিয়মিত মা কালী পুজিতা হয়ে থাকলেও কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে Kali Pujoর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
প্ৰদীপের আলোয় চারদিক আলোকময় হয়ে ওঠে Kali Pujoর রাতে।
শক্তির আরাধনায় দেবী চণ্ডীর পুজো হয় এদিন। সারা রাত ধরে কালীপুজোর আয়োজন করা হয়। কালী পুজো মানেই মনের অন্ধকার ঘুচিয়ে আলোর দিকে যাওয়া। প্ৰত্যেক বছর কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে মা কালীর বিশেষ পুজো হয়ে থাকে। এই তিথি ছাড়াও মাঘ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে রটন্তী ও জৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণা চতুর্দশী তিথিতে ফল হারিণী Kali Pujoও অত্যন্ত জনপ্ৰিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ। Kali Pujoর দিন মা কালী ছাড়াও ধনদেবী লক্ষ্মীও পূজিতা হন।
দেওয়ালিতে লক্ষ্মী ও গণেশের মূর্তি একসঙ্গে বসিয়ে পুজো করা হয়ে থাকে। এবছর কালী পুজো হচ্ছে- ২৪ অক্টোবর সোমবার। সন্ধ্যে ৪টে ৫৭ মিনিট থেকে ২৫ অক্টোবর ৪টে ২৬ মিনিট পর্যন্ত অমাবস্যা তিথি। অমৃত যোগ পড়েছে সকাল ৭টা ২০ মিনিট থেকে রাত ৩টে ১৬ মিনিট পর্যন্ত।
প্রণাম মন্ত্র
‘ওঁ ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হিং হিং দক্ষিণে কালীকে ক্রীং ক্রীং ক্রীং হৃং হৃং হ্রীং হ্রীং হ্রীং স্বহা। ওঁ কালী কালী মহাকালী কালীকে পাপহারিণীধর্মার্থমোক্ষদে দেবী নারায়ণী নমোস্তুতে।’
অমৃত যোগ – দিবা ঘ ৭।২০ মধ্যে ও ৮।৪৮ গতে ১০।৫৯ মধ্যে এবং রাত্রি ঘ ৭।২৬ গতে ১০।৫৫ মধ্যে ও ২।২৪ গতে ৩।১৬ মধ্যে।
Kali Pujo তথা দেওয়ালিতে (Diwali) পরিবেশ দূষণ ঠেকাতে আতশবাজি না পুরানোর জন্য প্ৰতি বছর সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন ধরনের জন সচেতনতামূলক কার্যকলাপ করা হয়। এবছরও শব্দদূষণ না করতে পরিবেশ দূষণ না করতে বারে বারে বলা হচ্ছে। বিষয়টি একাংশ মানুষের মধ্যে সচেতনতা আনতে সক্ষম হলেও একাংশ মানুষের মধ্যে এখনও পরিবেশকে বাঁচাতে হবে সেই অনুভব আসে নি। ফলত বিষয়টি রীতিমতো চিন্তায় ফেলেছে প্ৰকৃতিপ্ৰেমী এবং পরিবেশবিদদের।