কলকাতা: হেমন্ত ঋতুর স্বাদটাই ভিন্ন। ভোরে শিরশির ঠাণ্ডা, হাল্কা কুয়াশা, শিশির জমা সবুজ কাঁচা পাতা, শিউলি ঝরানো উঠোন, সাথে অবশ্যই এ সময় চাই জীবনানন্দের কবিতা। জমে ক্ষীর তাহলে হেমন্তের সকাল। ভীষণ সুন্দর একটা সময়। উপভোগ করার মতো।
আসলে হেমন্তের প্রতিটি সকালই শ্রেষ্ঠ। কবিদের ভিতর জীবনানন্দই বোধহয় হেমন্তের চিত্রটা অনুপম ভাবে এঁকেছিলেন। ‘শিশিরের শব্দের মতো সন্ধ্যা নামে,ডানায় রৌদ্রের গন্ধ মুছে ঘরে ফেরে চিল’।
আর যাই করুন না কেন, হেমন্তের ভোর আপনাকে দেখতেই হবে। এর অনুপম সৌন্দর্য আপনার মন শান্ত, শীতল করে দেবে। এ সময় প্রকৃতির চেহারা অন্য থাকে। এ যেন ভরা যৌবন আসার আগের সময়টা।
প্রকৃতির বদল না দেখলে আপনি অনেক কিছুই অদেখা থাকবেন। ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলায় বাংলার প্রকৃতি ও জীবন। বঙ্গাব্দ বর্ষপঞ্জি অনুসারে বর্তমানে কার্তিক মাস চলছে। কার্তিক-অগ্রহায়ণ এ দুই মাস হেমন্তকাল।
এ সময় শিশিরভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রকৃতিতে বেজে ওঠে শীতের আগমনী বার্তা। মাঠের পাকা সোনালি ধান, কৃষকের ধান ঘরে তোলার দৃশ্য মন মুগ্ধ করে ফেলে।
হেমন্তের শুরুর দিকে এক অনুভূতি আর শেষ হেমন্তে অন্য আরেক অনুভূতি।